ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

কমলা চাষে স্বনির্ভর আদিবাসী যুবক রাজেন্দ্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৭
কমলা চাষে স্বনির্ভর আদিবাসী যুবক রাজেন্দ্র কমলা ও মুসাম্বি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন আদিবাসী চাষি রাজেন্দ্র দেববর্মা

আগরতলা: ত্রিপুরার খোয়াই জেলার সবুজে ঘেরা কল্যাণপুর ব্লকের বড়মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে সর্বং গ্রামে কমলা ও মুসাম্বি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন আদিবাসী চাষি রাজেন্দ্র দেববর্মা।

কল্যাণপুর ব্লক ও মান্দাই ব্লকের মধ্যবর্তী পশ্চিম কুঞ্জবন এডিসি ভিলেজের এই সর্বং গ্রাম। সর্বংছড়া ও পাহাড়ি আঁকা-বাকা পথ ধরে হেঁটে যেতে হয় কল্যাণপুর শহর থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরের গ্রামটিতে।

এখানে প্রায় ২০০ লোকের বসবাস।  

সরেজমিনে জানা গেছে, গ্রামের বাসিন্দা রাজেন্দ্র দেববর্মা (৪০) নিজের সাতবিঘা টিলাজমি জুড়ে দু’শতাধিক কমলা ও মোসাম্বি গাছের বাগানটি করেছেন। স্থানীয় কৃষি দফতরের পরামর্শে চাষ করে এ বছর কমলার ফলনও পেয়েছেন বাম্পার।  

আর কিছুদিন পরই বাজারে কমলা বিক্রি শুরু করতে পারবেন বলে বাংলানিউজের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চাষি রাজেন্দ্র।  

তিনি জানান, তার বাগানে উৎপাদিত কমলার আকার, রঙ ও স্বাদ ভালো হওয়ায় এর চাহিদা খুব বেশি।  দূর পাহাড়ের পাদদেশে হওয়া স্বত্বেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে কমলা কিনে নিয়ে যান।  
কমলা ও মুসাম্বি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন আদিবাসী চাষি
রাজেন্দ্র জানান, তার প্রতিটি গাছে ৫০‍/৬০টি করে কমলা ধরেছে। এ বছর এক লাখ রুপির কমলা বিক্রি করতে পারবেন এবং আগামী বছর ফলন আরও বাড়বে বলেও তার আশা।  

কৃষি দফতর তাকে সার-ওষুধ, গাছের চারা দিয়েছে। সরকারও ‘জাতীয় গ্রামীণ রোজগার’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাগান পরিচর্যাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে কমলা চাষ তার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

কমলার পাশাপাশি মুসাম্বির বাগানেও সফল রাজেন্দ্র। তাকে দেখে গ্রামের অন্যরাও এখন নিজেদের পতিত টিলাভূমিতে কমলা চাষে উদ্যোগী হচ্ছেন। এলাকায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন বাগান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
এসসিএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।