কল্যাণপুর ব্লক ও মান্দাই ব্লকের মধ্যবর্তী পশ্চিম কুঞ্জবন এডিসি ভিলেজের এই সর্বং গ্রাম। সর্বংছড়া ও পাহাড়ি আঁকা-বাকা পথ ধরে হেঁটে যেতে হয় কল্যাণপুর শহর থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরের গ্রামটিতে।
সরেজমিনে জানা গেছে, গ্রামের বাসিন্দা রাজেন্দ্র দেববর্মা (৪০) নিজের সাতবিঘা টিলাজমি জুড়ে দু’শতাধিক কমলা ও মোসাম্বি গাছের বাগানটি করেছেন। স্থানীয় কৃষি দফতরের পরামর্শে চাষ করে এ বছর কমলার ফলনও পেয়েছেন বাম্পার।
আর কিছুদিন পরই বাজারে কমলা বিক্রি শুরু করতে পারবেন বলে বাংলানিউজের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চাষি রাজেন্দ্র।
তিনি জানান, তার বাগানে উৎপাদিত কমলার আকার, রঙ ও স্বাদ ভালো হওয়ায় এর চাহিদা খুব বেশি। দূর পাহাড়ের পাদদেশে হওয়া স্বত্বেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে কমলা কিনে নিয়ে যান।
রাজেন্দ্র জানান, তার প্রতিটি গাছে ৫০/৬০টি করে কমলা ধরেছে। এ বছর এক লাখ রুপির কমলা বিক্রি করতে পারবেন এবং আগামী বছর ফলন আরও বাড়বে বলেও তার আশা।
কৃষি দফতর তাকে সার-ওষুধ, গাছের চারা দিয়েছে। সরকারও ‘জাতীয় গ্রামীণ রোজগার’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাগান পরিচর্যাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে কমলা চাষ তার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
কমলার পাশাপাশি মুসাম্বির বাগানেও সফল রাজেন্দ্র। তাকে দেখে গ্রামের অন্যরাও এখন নিজেদের পতিত টিলাভূমিতে কমলা চাষে উদ্যোগী হচ্ছেন। এলাকায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন বাগান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
এসসিএন/এএসআর