মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) কলেজে বামফ্রন্ট সমর্থিত ছাত্রসংগঠন এসএফআই এবং বিজেপি সমর্থিত ছাত্রসংগঠন এবিভিপি'র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) কলেজের ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে এসএফআই ও এবিভিপি সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
পূর্ব আগরতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলন দত্ত নিজে কলেজ চত্ত্বরে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাড়া বহিরাগত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
প্রথমে এসএফআই প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়। পরে এবিভিপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এক প্রকার পুলিশি পাহারায় মধ্য দিয়ে এবিভিপি প্রার্থীদের কলেজে প্রবেশ করানো হয়েছে।
এবিভিপি’র তরফে অভিযোগ করে আসছে, শাসক দলীয় প্রার্থীরা নানাভাবে তাদের প্রার্থীদের ভয় ভিতি দেখাচ্ছে। যাতে তারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পাড়ে।
এমবিবি কলেজে এসএফআই'র ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বিজয় চক্রবর্তী জানান, মোট ২১টি আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বুধবারা (৬ সেপ্টেম্বর) আরো কিছু আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রতিটি কলেজে এসএফআই প্রার্থীরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জাবারে বিজয় চক্রবর্তী বলেন, এবিভিপি'র অভিযোগ ভিত্তিহীন। সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করলে অন্য সংগঠন কেউই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারতো না।
অপর দিকে এবিভিপি'র তরফে কলেজ ইউনিটের কনভেনার বিভাস রায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিনিধিদের ভোট দিয়ে জয়ী করতে হবে। যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন হয়, তবে রাজ্যের প্রতিটি কলেজে এবিভিপি'র প্রার্থীরাই নির্বাচিত হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাসক দলীয় ছাত্ররা তাদের সদস্যদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। এমন কি মেরে রক্তাক্ত করার পর অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
পূর্ব আগরতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলন দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আগে থেকেই পুলিশ প্রশাসন সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দুই ছাত্র সংগঠনকে আলাদা আলাদা জায়গায় মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করানো হয়েছে।
সেজন্য কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেও জানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
এসসিএন/জিপি