সুমিষ্টি রসালো এ আখের বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum officinarum। আখের রস থেকে তৈরি হয় চিনি ও গুড়।
ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় আখ চাষ হয়। এর মধ্যে সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর এলাকার কিছু চাষি আখ চাষ করে আসছেন বংশ পরম্পরায়। আবার কেউ কেউ নতুন করে আখ চাষের প্রতি ঝুকছেন।
মেলাঘরের আখ চাষি দীপক মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, তার পরিবার বংশ পরম্পরায় আখ চাষের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এবছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ৯০ হাজার রুপি'র আখ বিক্রি করে নিয়েছেন। আখ চাষে লাভ ভালই হয় বলে জানান তিনি।
পাইকারি দরে প্রতি ১শ' আখ ২ হাজার ৫শ' রুপি দরে বিক্রি করেন। তবে বাজারে খুচরা বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ৫০রুপি দরে একটি আখ বিক্রি হয় বলেও জানান। আখ চাষে খরচ খুব সামান্য, এগুলোতে রোগ বালাই কম হওয়ায় সার ও কিটনাশক খুব কম লাগে। আখ চাষে বীজের প্রয়োজন হয়, কাটা আখের উপরের অংশ লাগালেই হয়ে যায়। তবে সব চাষি আখ চাষে সফলতা পায়না বলেও জানান দীপক মজুমদার।
অপর এক আখ চাষি বলেন, মেলাঘর এলাকার মাটিতে মূলত বরিশালি ও ২০৮ এই দুই প্রজাতির আখ চাষ ভালো হয়। বরিশালি আখ মূলত আগের রস বিক্রেতাদের পছন্দের এবং ২০৮ আখ চিবিয়ে রস খাওয়ার জন্য বিক্রি হয়। এই এলাকার প্রায় ২৫ পরিবার আখ চাষের সঙ্গে যুক্ত।
এক বিঘা জমিতে আখ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার রুপি যদি ফলন ভালো হয় তবে আখ বিক্রি করে ২লাখ রুপি পাওয়া যায়।
মেলাঘরের আখ সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি গোমতী জেলা ও রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এসসিএন/বিএস