সেখান থেকে সড়ক পথে ট্রাকে করে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়েছে প্রতিমা অংশগুলো। এখন চলছে সেগুলো জোড়া লাগানোর কাজ।
শুধু তাই নয়, দেবী প্রতিমার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনা হচ্ছে সাঁওতালি শিল্পীদের। তারা পূজার কয়েদিন সারা রাত ধরে নিজস্ব লোক সংস্কৃতির নৃত্য ও সংগীত দর্শকদের সামনে তুলে ধরবেন।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার ঐতিহ্যবাহী ও সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজা কমিটি গান্ধীঘাটের নেতাজী প্লে সেন্টার। এবছর এ কমিটি ৬০ বছরে পড়েছে। তাই তাদের পূজার থিম “৬০ এ ৬০”।
তারা এবছর দুর্গা প্রতিমা গড়ছেন ৬০ ফুট উঁচু করে। দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গনেশ- অর্থাৎ দেবী দুর্গাকে সপরিবারে তৈরি করা হচ্ছে সাঁওতালি আদিবাসীদের আদলে। প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে ফাইবার দিয়ে।
নেতাজী প্লে সেন্টারের পূজা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক সুনীল কুমার সাহা বাংলানিউজকে জানান, এবছর তারা শুধু দেবী প্রতিমাই সাঁওতালি রূপে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন এমনটা নয়। দেবী প্রতিমার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনা হচ্ছে সাঁওতালি শিল্পীদের। তারা পূজার কয়েদিন সারা রাত নিজস্ব লোক সংস্কৃতির নৃত্য ও সংগীত দর্শকদের সামনে তুলে ধরবেন।
পূজার বাজেট সম্পর্কে সুনীল কুমার সাহা জানান, এবছর পূজায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ রুপি খরচ হতে পারে।
তিনি আরো জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর দর্শকদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে। তাই তারা খোলা মাঠে পূজা করছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী পূজা প্রাঙ্গণে রাখা হবে।
দর্শকদের কথা মাথায় রেখে এবছরও পঞ্চমীর দিন দর্শকদের জন্য পূজার প্যান্ডেল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান সুনীল কুমার সাহা।
এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগর থেকে আনা আলোক স্বজ্জা দর্শকদের জন্য চালু করে দেওয়া হয়েছে। আলোক স্বজ্জা দেখতে মানুষ নেতাজী প্লে সেন্টারের পূজা মণ্ডপে আসতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এসসিএন/এজেড/জিপি