হিন্দু শাস্ত্র মতে এদিন মৃত পূর্বপুরুষরা জীবিতদের খুব কাছে অবস্থান করেন তাই মৃতদের উদ্দেশে তর্পণ করলে তাদের আত্মার শান্তি হয়। আবার এদিন দেবী দুর্গা তার চার সন্তান নিয়ে স্বামী দেবাদীদেব শিবের কৈলাশের বাড়ি থেকে মর্ত্যে বাপের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন।
তাই গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ত্রিপুরা রাজ্যজুড়েও পালিত হচ্ছে পিতৃতর্পণ। বিভিন্ন এলাকার নদী, পুকুর ও দীঘিতে তর্পণ করছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
এদিন তর্পণের জন্য সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছে রাজধানীর উজ্জ্বন্ত প্রাসাদের সামনের জোড়া দীঘিতে। এখানে ভোর রাত থেকেই তর্পণের জন্য ভিড় জমে।
এই জোড়া দীঘিতে ত্রিপুরা রাজ্য আমল থেকে তর্পণ হয়ে আসছে। কথিত আছে- রাজন্য আমলে প্রথমে রাজারা এই দীঘিতে তর্পণ করতেন তারপর রাজ পরিবারের অন্যান্য লোকজন ও পরে সাধারণ মানুষ তর্পণ করতেন। এখনো রাজবাড়ির দীঘিতে তর্পণ করতে আসেন। এখন দীঘির বিভিন্ন ঘাটে তর্পণ হয়।
পাশাপাশি এদিন সকালে প্রচুর সংখ্যক মানুষ প্রাতভ্রমণে বের হন। তাই এদিন রাজধানীর বিভিন্ন পার্ক, ফাঁকা জায়গাসহ রাস্তায় প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
এদিকে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সদর জেলার শহরাঞ্চল কমিটির উদ্যোগে মহালয়ায় প্রাতঃভ্রমণকারীদের মধ্যে খাওয়ার পানি ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা ডালিয়া সিং, জেলা সম্পাদিকা দীপু রায় চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এসসিএন/এমজেএফ