এই ট্রেনের যাত্রার ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মানুষের মধ্যে রাজধানী দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ্য ব্যবস্থা আরও সহজ হবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) এ উপলক্ষে আয়োজিত আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহাই বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের কথা আগের সরকার বললেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের এই অংশের উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে।
‘সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতকে ব্রডগেজ ট্রেনে যুক্ত করার কাজ চলছে। রেলওয়ে যোগাযোগে ত্রিপুরা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। আগরতলা থেকে বাংলাদেশের সঙ্গেও রেলপথে যোগাযোগ স্থাপন করার কাজ শুরু হয়েছে। ’
ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য থেকে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করলেও গত ৫০ বছরে ত্রিপুরা রাজ্যে রেলপথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি।
‘আসলে আন্দোলনই শেষ কথা নয়। এর জন্য সদিচ্ছা থাকা চাই। বর্তমান ভারত সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেশের এই অংশের উন্নয়ন চাইছে ও করছে। ’
অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা সবুজ পতাকা নাড়লে ট্রেনটি আগরতলা থেকে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এদিন রাজধানী এক্সপ্রেসে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
রাজধানীতে বসা তৈমুর রাজা চৌধুরী নামে আসামের শিলচর শহরের একটি প্রভাতী দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক দু’দিনের কাজে আগরতলা এসেছিলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হবেন বলে কাজ ফেলে অন্য ট্রেনের নির্ধারিত টিকিট বাতিল করে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে তার সফর সঙ্গীকে নিয়ে নিজ রাজ্যে ফিরছেন।
একই ভাবে সিবাজী সেনগুপ্ত গৌহাটি যাচ্ছেন পরিবার নিয়ে। তিনি বলেন, তিনদিন আগে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু রাজধানী এক্সপ্রেস যাবে শুনে টিকিট বাতিল করে আজ যাচ্ছি। খুব আনন্দ লাগছে।
রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগরতলা থেকে দিল্লির আনন্দবিহার স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছাতে ৪৮ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগবে।
এদিকে নতুন ট্রেনটি দেখতে প্রচুর সাধারণ মানুষ ভিড় করেছিলেন রেলস্টেশনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এসসিএন/এমএ