শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আগরতলা থেকে ‘হামসফর এক্সপ্রেস’ নামে ট্রেনটি বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটির উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাজেন গোঁহাই, ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দফতরের মন্ত্রী মানিক দে, রাজ্যের সংসদ সদস্য শঙ্কর প্রাসাদ দত্ত, স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ সরকার, এনএফ রেলওয়ের জিএম চাহাতে রাম ও রেলের নির্মাণ শাখার জিএমএম কে প্রসাদসহ রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দফতরের মন্ত্রী মানিক দে আগরতলা থেকে দিল্লির রাজধানী এক্সপ্রেস সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে তিন দিন চালানোর আহ্বান জানান।
রাজেন গোঁহাই বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবকটি রাজ্যের রাজধানীকে ব্রডগেজ ট্রেনে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেষ্টায় দ্রুত কাজ হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই রাজধানী এক্সপ্রেস সপ্তাহে দু’দিন চালানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের পরবর্তী নির্বাচনের পর দেওঘরের সঙ্গে যুক্ত করে ট্রেন চালু করা হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি মিয়ানমারকে ভারত থেকে ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এই দু’দেশ যুক্ত হলে ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারত বাণিজ্য হাবে পরিণত হবে।
মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেনের যাত্রার শুভারম্ভ করেন। ট্রেনটি পুরোটাই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। মোট কোচ ২১টি। সপ্তাহে একদিন আগরতলা থেকে ছাড়বে ও একইভাবে বেঙ্গালুরু থেকেও ছেড়ে আসবে।
আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে নিয়মিত যাতায়াত করবে। আসাম রাজ্যের রাজধানী গৌহাটি, কলকাতা, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ুর ভেলোর হয়ে বেঙ্গালুরু শহরে যাবে। যাত্রাপথে ট্রেনটি মোট ২৮টি স্টেশনে দাঁড়াবে। আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরুর দূরত্ব ৩ হাজার ৫শ' ৪৫ কিমি। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নেবে ৬৪ ঘণ্টা। এতে ত্রিপুরা রাজ্যের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের ভেলোর শহরের সিএমসি হাসপাতালে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই কম হবে। এ সুবিধা বাংলাদেশের নাগরিকরাও নিতে পারবেন।
এর আগে মন্ত্রী রাজেন গোঁহাই রাজ্যের গোমতী জেলার উদয়পুর থেকে গর্জির মধ্যে যাত্রীট্রেন পরিষেবারও উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এসসিএন/এএ