অনুষ্ঠানের প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মিউজিয়ামের সামনে মূল ফটকের বাইরে ১১০ ফুট উঁচু স্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় তিনি গেটের দু’পাশে স্থাপিত অগ্নিযুগের বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদের প্রতিষ্ঠাতা রাধা কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর উজ্জ্বয়ন্ত প্যালেসের ভেতর পাঁচটি গ্যালারির উদ্বোধন করেন ও এগুলো ঘুরে দেখেন। এ গ্যালারিগুলোর মধ্যে অন্যতম- ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্যালারি। এতে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, কামান, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পত্রপত্রিকা, আলোকচিত্রসহ নানা দলিল রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পতাকার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার বিষয়টি গভীর ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাই এ পতাকাটিকে যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যবহার করতে না পারে, এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, ও এন জি সি ত্রিপুরা অ্যাসেটের ম্যানেজার জি কে সিংহরায় প্রমুখ।
ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বোচ্চ ‘জাতীয় পতাকার স্তম্ভ’টির উচ্চতা ১১০ ফুট। এতে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ৩০ ফুট প্রস্থের পতাকা লাগানো হয়েছে। এটি নির্মাণে ও এন জি সি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০ ২০১৭
এসসিএন/এনএইচটি