অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে জমি থেকে ধান কেটে নিলে যে খড় মাঠে পড়ে থাকে কিশোর-কিশোরীরা সেই খড় কেটে আনে। গ্রাম-বাংলার অনেক অঞ্চলে এগুলিকে নাড়া বলে।
অনেক সময় তাদের সহযোগিতায় কাজে হাত লাগান বড়রাও। এই বাঁশ ও নাড়ার ঘরেও ফুটিয়ে তোলা হয় নান্দনিকতা। কেউ এই ঘর তৈরি করেন অতি সাধারণভাবে দোচালা, কেউ চার চালা আবার কেউ তৈরি করেন দোতলা ঘর।
কখনো-সখনো ১০ দিন ধরে কাজ করে তৈরি করা হয় এসব ঘর। তারপর মকর সংক্রান্তির আগের দিন রাতে এই ঘরের ভেতর সবাই মিলে মাছ, মাংস, ডিম সাধ্যমতো রান্না করে হয় জমজমাট পিকনিক। অনেকে রাতে ঘুমিয়েও কাটায় এই ঘরে। পরদিন অর্থাৎ, মকর সংক্রান্তির দিন ভোরে সূর্যদয়ের আগে স্নান সেরে ওই ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে সেই আগুনের উত্তাপে নিজের শরীর উত্তপ্ত করা হয়।
সবশেষে বাড়ি ফিরে মা, ঠাকুরমার হাতে তৈরি পিঠে-পুলি খেয়ে শুরু হয় মকর সংক্রান্তির মূল আনন্দ উপভোগ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এসসিএন/এএ