ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

মকর সংক্রান্তির ‘বুড়ির ঘর’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
মকর সংক্রান্তির ‘বুড়ির ঘর’ তৈরি করা হচ্ছে মকর সংক্রান্তির বুড়িঘর/ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: মকর সংক্রান্তি তিথির প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি পার্বণ বুড়ির ঘর বা বেড়াবেড়ির ঘর তৈরি। মূলত কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েরা এ ঘর তৈরি করে। গ্রামীণ জনপদে ঐতিহ্যবাহী চিরাচরিত এ সংস্কৃতি এখনো বিলুপ্ত হয়নি। এ সংস্কৃতির বাইরে নয় ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলিও। 

অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে জমি থেকে ধান কেটে নিলে যে খড় মাঠে পড়ে থাকে কিশোর-কিশোরীরা সেই খড় কেটে আনে। গ্রাম-বাংলার অনেক অঞ্চলে এগুলিকে নাড়া বলে।

এই নাড়া ও বাঁশ দিয়ে বাড়ির পাশে ফাঁকা জমিতে তৈরি করা হয় ঘর। ছেলেরা দলবেঁধে এ কাজ করে।  

তৈরি করা হচ্ছে মকর সংক্রান্তির বুড়িঘর/ছবি: বাংলানিউজঅনেক সময় তাদের সহযোগিতায় কাজে হাত লাগান বড়রাও। এই বাঁশ ও নাড়ার ঘরেও ফুটিয়ে তোলা হয় নান্দনিকতা। কেউ এই ঘর তৈরি করেন অতি সাধারণভাবে দোচালা, কেউ চার চালা আবার কেউ তৈরি করেন দোতলা ঘর।  

তৈরি করা হচ্ছে মকর সংক্রান্তির বুড়িঘর/ছবি: বাংলানিউজকখনো-সখনো ১০ দিন ধরে কাজ করে তৈরি করা হয় এসব ঘর। তারপর মকর সংক্রান্তির আগের দিন রাতে এই ঘরের ভেতর সবাই মিলে মাছ, মাংস, ডিম সাধ্যমতো রান্না করে হয় জমজমাট পিকনিক। অনেকে রাতে ঘুমিয়েও কাটায় এই ঘরে। পরদিন অর্থাৎ, মকর সংক্রান্তির দিন ভোরে সূর্যদয়ের আগে স্নান সেরে ওই ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে সেই আগুনের উত্তাপে নিজের শরীর উত্তপ্ত করা হয়।  

সবশেষে বাড়ি ফিরে মা, ঠাকুরমার হাতে তৈরি পিঠে-পুলি খেয়ে শুরু হয় মকর সংক্রান্তির মূল আনন্দ উপভোগ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এসসিএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।