শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খোয়াই জেলার চাকমাঘাট এলাকায় খোয়াই নদীর ব্যারেজের পাশে এবছর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দফতরের মন্ত্রী রতন ভৌমিক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দুই বিধায়ক মনীন্দ্র চন্দ্র দাস ও গৌরী দাসসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষ।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে রাজ্যে চারটি বড় ধরনের মেলা বসে। এগুলো হলো- গোমতী জেলার তীর্থমুখের মেলা, খোয়াই জেলার চাকমাঘাটের মেলা, ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের ঊনকোটি মেলা ও উত্তর জেলার প্রত্যেকরায় এলাকার আখড়ার মেলা।
এরমধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন মেলা হলো প্রত্যেকরায়ের আখড়ার মেলা। এই মেলা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য। আখড়ার মেলা ছাড়া বাকি সবকটি মেলা নদী বা পানির উৎস স্থলে অনুষ্ঠিত হয়। তীর্থমুখের মেলা হয় গোমতী নদীর উৎস মুখে। চাকমাঘাটের মেলা হয় খোয়াই নদীর তীরে। আর ঊনকোটি মেলা হয় পাহাড়ি ঝর্ণা ও কুন্ডের পাশে। তবে সবকটি মেলাই অনুষ্ঠিত হয় দুইদিন ব্যাপী।
সনাতন পূণ্যার্থীরা আগের দিন দূর দূরান্ত থেকে চলে আসেন মেলা প্রাঙ্গণে। মকর সংক্রান্তির ভোরে তারা মেলার পার্শবর্তী নদী বা কুন্ডে স্নান করে পূজা করেন। পানিতে পূর্ব-পুরুষের অস্থি বিসর্জন করে শ্রাদ্ধ শান্তি ও পিতৃতর্পণ করেন। মেলা উপলক্ষ্যে রাজ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানিরা নানা সামগ্রী নিয়ে হাজির হন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে উন্নয়নমূলক কাজের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়।
বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে বড় মেলা হয় তীর্থমুখে। এখানে প্রতিবছর দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। প্রতিবছরের মতো এবারও পূণ্যার্থীদের থাকার জন্য প্রশাসন থেকে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার, পানিসহ নিরাপত্তার জন্যেও প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও ছোট-বড় অসংখ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে গোটা ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসসিএন/এমএসএ/জিপি