ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঙালি অংশের মানুষ ও উত্তরপূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকার কিছু বাঙালি লোকজন দোল উৎসব উদযাপন করে থাকেন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যের বড় পাইকারি মহারাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেল বিক্রেতারা আবির বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানগুলোতে সজানো আছে লাল, নীল, কমলা, সাদা, সবুজসহ নানা রঙের আবিরের বস্তা। রঙ খেলার জন্য বিভিন্ন আকারের ও ডিজাইনের পিচকারিও রয়েছে। এসব দোকানে পাইকারিতে রঙসহ হোলির নানা সামগ্রী কিনতে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুচর বিক্রেতারা এসে ভিড় জমাচ্ছেন। নারী বিক্রেতা রিঙ্কু পাল বাংলানিউজকে জানান, মান অনুযায়ী আবিরের মূল্য নির্ধারিত আছে। প্রতি কেজি আবিরের মূল্য ৮০-১শ রুপি পর্যন্ত। প্যাকেটজাত আবির বিক্রি হচ্ছে ১০ রুপি করে। একইসঙ্গে পিচকারিও আকার অনুসারে ১৫ রুপি থেকে শুরু করে ৫শ' রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, গতবার থেকে হোলির নতুন সংযোজন হয়েছে ‘মালিঙ্গা টুপি’। বিভিন্ন রঙের ফাইবারের চুল দিয়ে তৈরি করা হয় এই টুপি। একটি টুপির মূল্য ৮০-১শ’ রুপি। বাজারে হোলির সামগ্রীগুলোর চাহিদা প্রচুর। আগামী দিনগুলোতে বিক্রি বাড়তে পারে বলে যোগ করেন তিনি।
এবার হোলি ও ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনা একইদিনে হওয়ায় আবিরের চাহিদা অনেকটাই বেশি বলেও জানান তিনি। এবছর ক্রেতাদের মধ্যে গেরুয়া আবিরের চাহিদা অনেকটাই বেশি বলেও মত ব্যক্ত করেন রিঙ্কু পাল।
বিক্রেতা রাজু সাহা বাংলানিউজকে জানান, হোলি উপলক্ষে বিক্রি ভালোই হচ্ছে। তবে এখনো বেশ কিছুদিন বাকি আছে। হোলির দিন এগিয়ে এলে বিক্রি আরো বাড়বে বলেও তিনি আশাব্যক্ত করেন।
খুচরা রঙ বিক্রেতা অজিত দেবকে এবার আবির বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ মানুষ রঙ কিনতে এসে শুধু বলছে গেরুয়া দেন, গেরুয়া চাই। মানুষের কথা শুনে মনে হচ্ছে গেরুয়া বাহিনী চলে এসেছে। সবমিলিয়ে হোলি ও ভোটের জয়ের রঙ খেলার জন্য আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজারসহ রাজ্যের প্রতিটি কোণায় এখন রঙের দোকানে উপচেপড়া ভিড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
এসসিএন/এএটি