হাপানীয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে এবছর মোট ১১৫টি স্টল বসেছে। ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি রাজস্থানসহ বাংলাদেশ ও থ্যাইল্যান্ড থেকেও ব্যবসায়ীরা তাদের সামগ্রী নিয়ে বসেছেন।
মেলায় ঘরের কাঠ, ত্রিপুরা রাজ্যের খ্যাতনামা বাঁশবেত, স্টিলের আসবাবপত্র, সোফা সেট, পালঙ্ক, চেয়ার-টেবিলসহ অন্য সামগ্রী যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় বাসনপত্র ও গৃহসজ্জার সামগ্রী। রয়েছে হাতে তৈরি পুতুল, প্রসাধন সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক-মেলামাইন সামগ্রী, প্যাকেটজাত খাবার ও ফুড স্টল।
আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দুই লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে। এই সংস্থার ম্যানেজার বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনার বাসিন্দা সুনীল কুমার। তিনি শিল্প ও বাণিজ্যমেলা দেখতে এসেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলা ঘুরে বেশ ভালো লেগেছে, বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশের তৈরি পণ্য ও বাঁশসহ অন্য ফলের আচার। বাংলাদেশি শাড়িও ভালো লেগেছে।
সন্ধ্যা নামতেই মেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মানুষের জন্য মেলাপ্রাঙ্গণের সামনের জাতীয় সড়কে যানজট লেগে থাকছে প্রতিদিনই। তবে বিক্রেতাদের অভিমত, মেলায় প্রতিদিন মানুষের ভিড় থাকলেও ক্রেতা খুব কম, বেশিরভাগই দর্শক।
কাপড় ও উলের সুতা দিয়ে হাতে তৈরি পুতুল নিয়ে বসেছেন হাপানীয়ার বাসিন্দা নমিতা মল্লিক। তিনি জানান তার দোকানে সর্বোচ্চ ৩শ' রুপি মূল্যের পুতুল রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি খারাপ।
মোহম্মদ উমর রাজস্থান থেকে এসেছেন কাচ ও ধাতব গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে। তার দোকানে ৫০ রুপি থেকে ২৫ হাজার রুপির সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। এবারই প্রথম এসেছেন। কিন্তু বিক্রি খুব একটা বেশি হচ্ছে না বলে তিনি হতাশ।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্টলের পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকার ও সরকার অধিগৃহিত সংস্থার প্রদর্শনী স্টলও খোলা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-টিএনজিসিএল, জাইকা, বাম্বো মিশন ইত্যাদি।
প্রতিবছর এই মেলা ১৫ দিনের হলেও এবছর মেলা ১০ দিনের জন্য রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মেলায় আসা ব্যবসায়ীরা হতাশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসসিএন/আরআর