ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরা মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নেই বলে নাখোশ ক্রেতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
ত্রিপুরা মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নেই বলে নাখোশ ক্রেতা মেলায় শাড়ি দেখছেন দুই নারী/ ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: প্রতিবছর ত্রিপুরা শিল্প ও বাণিজ্য মেলার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে নজর কাড়ে বাংলাদেশি পণ্যের স্টলগুলো। বিশেষ করে বাংলাদেশের ঢাকাই জামদানিসহ অন্যান্য শাড়ির স্টলে ভিড় থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। রাজ্যের অনেক ক্রেতাও সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন এ মেলার জন্য।

ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহ মাথায় রেখে মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষও বাংলাদেশি শাড়ি ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা করে আলাদা প্যাভিলিয়ন করে দেয়। কিন্তু এ বছর মেলায় দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।

অন্য স্টলগুলোর মাঝেই করে দেওয়া হয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের স্টল। এর কারণ জানতে মেলা কমিটির কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা, বাংলাদেশের শাড়ির স্টল খুঁজতে ক্রেতাদের বেশ ঘুরতে হচ্ছে। একটি স্টল পেলে তাতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। পৃথক পৃথক জায়গায় স্টল বরাদ্দের কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও বুঝতে পারছেন না বিক্রি-বাট্টার গতি-প্রকৃতি।

মেলায় এ বছর ঢাকাই জামদানি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ২২৫০ রুপিতে। এছাড়া রাজশাহীর সিল্ক শাড়ি ১২০০ রুপি ও তাঁতের শাড়ি সর্বনিম্ন ১৫০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসলিন লুঙ্গি।

তবে এ বছর মেলায় বিক্রি অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বলে বাংলানিউজকে জানান বাংলাদেশ থেকে মেলায় আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আক্কেল আলী।

নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলায় আসা ব্যবসায়ী মোহম্মদ আফসার উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকাই জামদানি, রাজশাহী সিল্কের পাশাপাশি তসর সিল্ক, জুটকোটাসহ বিভিন্ন প্রকার শাড়ি নিয়ে মেলায় আসেন তিনি। তার শাড়ির ন্যূনতম দাম এক হাজার রুপি থেকে শুরু করে ১০ হাজার রুপি পর্যন্ত। তবে এসব পণ্যের মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে ঢাকাই জামদানি ও রাজশাহী সিল্কে। গত আট বছর ধরে তিনি এ মেলায় আসেন।  

এ বছর মেলায় ব্যবসা খারাপ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কিছু দিন আগে ত্রিপুরা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ছিল। এ জন্য মেলায় মানুষ কম কেনাকাটা করছে। এছাড়া প্রতিবছর মেলা ১৬  দিন যাবত হয়েছে। কিন্তু এ বছর তা কমিয়ে ১০ দিনে নিয়ে আসা হয়েছে।

মেলায় কেনাকাটা করতে আসা আগরতলার অফিস লেন এলাকার বাসিন্দা স্বপ্না চক্রবর্তী তার ছেলের বউকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। ঘুরছেন বাংলাদেশের পণ্যের স্টলে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমত মৈত্রীর বন্ধন, বাংলাদেশ বন্ধু রাষ্ট্র। তাছাড়া বাংলাদেশের ঢাকাই মসলিন শাড়িগুলো সব সময় ত্রিপুরা রাজ্যে পাওয়া যায় না। এ কারণেই আসা। বাংলাদেশি শাড়ির জন্য শিল্প ও বাণিজ্য মেলাই ভরসা।
 
স্বপ্না চক্রবর্তীর ছেলের বউ শিক্ষিকা নবনিতা চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, সারাবছর ভারতীয় শাড়ি কেনা হয়। বাংলাদেশে তেমন একটা যাওয়া হয় না। সেদেশের ঢাকাই জামদানি বিখ্যাত, তাই মেলায় বাংলাদেশের শাড়ি ব্যবসায়ীরা এলে প্রতি বছর কেনাকাটা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এসসিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।