ভারতের জাতীয় পর্যায়ের একাধিক জরিপ সংস্থার পরিচালিত বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়, দীর্ঘ ২৫ বছর পর বামফ্রন্টের অবসান ঘটিয়ে এবার প্রথম বারের মতো ত্রিপুরাতে ‘বিজেপি-আইপিএফটি’ জোট সরকার গঠন করবে।
তাদের একটি জরিপ বলছে, এ জোট বিধানসভায় ৩৫ থেকে ৪৫টি আসন পাবে।
এদিকে ত্রিপুরা রাজ্যের স্থানীয় কয়েকটি জরিপ সংস্থা বলছে, বামফ্রন্টই আবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তাদের জরিপ অনুযায়ী, বামফ্রন্ট ৪০ থেকে ৪৯টি আসন পেতে চলেছে।
জরিপে এ দুই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে বিভ্রান্ত ত্রিপুরার ভোটাররা। বিশেষ করে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যের দৈনিক পত্রিকাগুলোতে এসব জরিপের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে এখন তা পরিণত হয়েছে আলোচনার মূল বিষয়বস্তুতে।
ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি’র মুখপাত্র অশোক সিনহা এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এসব জরিপ পরিসংখ্যান ভিত্তিক তথ্য দেয়। কোনো সংস্থাই রাজ্যের সব ভোটারের কাছে গিয়ে এসব জরিপ চালায়নি। জনগণের রায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে জমা আছে। ফল প্রকাশের আগে এসব জরিপকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সিপিআই (এম) দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সদস্য পবিত্র করের দাবি জাতীয় পর্যায়ের জরিপ সংস্থাগুলোকে বিজেপি’ই ডেকে এনেছে। তাই এ সংস্থাগুলোর জরিপকে আমলে নিতে নারাজ তিনি। তার মতে, শুধু স্থানীয় জরিপ সংস্থাগুলো নিরপেক্ষ তথ্য দিচ্ছে।
তবে বিজেপি’র জোট সঙ্গী আইপিএফটি দলের সভাপতি এন সি দেববর্মা জাতীয় পর্যায়ের জরিপ সংস্থাগুলোর রিপোর্টকেই সঠিক বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, ভোটের পর থেকেই এ পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিলো যে, দীর্ঘ দিনের বামফ্রন্টকে হটিয়ে বিজেপি-আইপিএফটি দলের জোট সরকার গড়তে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসসিএন/এনএইচটি