ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাটিল, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নীর্মলা সীতারামন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা, অলিম্পিকে দৌঁড়ে স্বর্ণপদক জয়ী পিটি ঊষা, অলিম্পিয়াড বক্সার মেরিকম, অলিম্পিয়াড জিমন্যস্ট দীপা কর্মকার- এরা সবাই নারী। এরা কাজের মধ্য দিয়ে ভারতের নাম সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন।
তবে শত খ্যাতিবান নারীর দেশে এখনও মেয়ে শিশু জন্মদান অনেকেই অপরাধের চোখে দেখেন। মেয়ে জন্ম দেওয়ার জন্য জন্মদাত্রীকে সেবাযত্নের পরিবর্তে শুনতে হয় গঞ্জনা। কন্যাভ্রুণ হত্যা, জন্মের পর কন্যা সন্তানকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা এখনও সমাজে দগদগে ক্ষতের মতো।
এই সামাজিক ব্যাধির হাত থেকে সমাজকে মুক্ত করতে ভারত সরকারকে নিতে হচ্ছে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচি।
২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের কে জে সোমাইয়া বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে সংস্কৃত ভাষায় ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ শীর্ষক এক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় ভারতের বিভিন্ন এলাকার সংস্কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি চলচ্চিত্র নিয়ে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় আসা সব চলচ্চিত্রকে পেছনে ফেলে স্বর্ণপদক জিতে নেন ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থান'র একলব্য ক্যাম্পাসের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা শর্মা।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ৮ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের কে জে সোমাইয়া বিদ্যাপীঠে যুব উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। তিনি এই চলচ্চিত্রটি নির্দেশনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন।
তার এই সাফল্যে খুশি আগরতলার একলব্য ক্যাম্পাসের শিক্ষক, সহপাঠী মা-বাবাসহ আত্মীয় স্বজন।
প্রিয়াঙ্কা জানান, এর আগেও একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতেছেন।
প্রিয়াঙ্কার বাড়ি উত্তর জেলার ধর্মনগর শহরের প্রগতি রোড এলাকায়। তার বাবা পান্না শর্মা একজন সমাজসেবী। মফস্বল শহরের এক মেয়ের জাতীয় স্তরে পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশি এলাকাবাসীও।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ, ২০১৮
এসসিএন/আরআর