এ খবর প্রকাশের পর রাজ্যের মানুষের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষিত যুবক অংশের মধ্যে এ উদ্বেগের মাত্রা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কেন চাকরি সংক্রান্ত এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করল ত্রিপুরা সরকার। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১০ মে) রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এমন নয়, রাজ্য সরকার সরকারি চাকরিতে নতুন নিয়োগ বন্ধ করেছে। আসলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সাময়িকের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগের সরকারের নিয়োগ নীতিতে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। রাজ্য সরকার সব ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম নীতি পরীক্ষা করে দেখে যেখানে ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করে আবার নিয়োগ দেবে।
তাই এ বিষয়টি নিয়ে যুবকদের চিন্তা করার কিছু নেই বলেও জানান উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা।
ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন সরকারের এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিরোধী সিপিআই (এম) দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী পবিত্র করকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিজেপি তাদের ভিশন ডকুমেন্টে যা বলেছিল তার সঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর কাজের কোনো মিল নেই। তারা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঘরে ঘরে একটি করে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলছেন, সরকারি চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে না ঘুরে পানের দোকান ও গরুপালের কাজ করার জন্য। এমনকি সামাজিক ভাতাও রাজ্য সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি। অথচ তারা নির্বাচনের আগে বলেছিল ক্ষমতায় এলে সামাজিক ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।
ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন সরকারের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে সিপিআই (এম) দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিজন ধরকে জিজ্ঞাসা করা তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের এখতিয়ার রয়েছে পুরাতন যেকোনো নিয়োগ নীতির পর্যালোচনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এসসিএন/আরবি/