মঙ্গলবার (১৯ জুন) ত্রিপুরা বিধানসভায় ২০১৮-১৯ সালের অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা।
বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ সালে বিভিন্ন কর বাবদ রাজ্য সরকারের আয় হবে ১৭০৯ কোটি রুপি।
এদিন অর্থমন্ত্রী বাজেটে তাদের পরিকল্পনা ও সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টির দিতে তাদের চিন্তা ভাবনার দিকটিও তোলে ধরার চেষ্টা করেন। এ বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো ভারত সরকারের জাতীয় গ্রামোন্নয়ন যোজনার মান উন্নয়ন, জনজাতি অংশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতিসহ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের উন্নয়নে গুচ্ছ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং গুনগত শিক্ষার প্রসার ঘটানো, তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হবে। গ্রামীণ এলাকায় সড়ক ব্যবস্থাকে আরো উন্নত ও মজবুত করা হবে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক অংশের মানুষের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় পরিশ্রুত পানির ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে রাজ্যে একাধিক সু-সংহত স্থলবন্দর গড়ে তোলা হবে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ত্রিপুরা রাজ্যেশারো দু’টি সীমান্ত হাট চালু করা হবে।
গাঁজা, মাদক পাচারকারী, জমি ও বালি মাফিয়াসহ সব ধরনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এজন্য পুলিশে ক্রাইম ব্রাঞ্চ খোলা হবে। বেকারদের স্ব-নির্ভর করতে দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এজন্য নানা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এতে ইতোমধ্যে সাত লাখ বেকার নাম নথিভুক্ত করেছেন। ইলেক্ট্রনিকের উপর কোনো কর চাপানো হবে না।
রাজ্যবাসীর উপর অহেতুক করের বোঝা চাপাবেনা সরকার। সরকারি কর্মচারীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে এই বাজেটে বলেও আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এসসিএন/এএটি