ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ফের আলোচনায় মানিক সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
ফের আলোচনায় মানিক সরকার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা: ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে না থাকলেও তিনি আগের মতো এখনো আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে সমান মহিমায় রয়েছেন। তিনি হলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার।

চলতি বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন বুধবার(২০ জুন) মানিক সরকার বিধানসভা অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন। বি জে পি বিধায়ক অরুন চন্দ্র ভৌমিক বিধানসভার স্পিকার রেবতী মোহন দাস'র নিকট জানতে চান বিরোধী দল নেতা বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন সময়ে জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার পর সভায় প্রবেশ করেন।

 

এমনকি এদিন হাউসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে অথচ তিনি অনুপস্থিত। তিনি কি তার অনুপস্থিতির কারণ স্পিকারকে জানিয়েছেন?

তার এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এক সঙ্গে উঠে দাড়ান বিরোধী দলের তিন বিধায়ক বাদ চৌধুরী, রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ এবং তপন চক্রবর্তী তারা বি জে পি বিধায়ক অরুন চন্দ্র ভৌমিকের প্রশ্নের বিরোধীতা করে বলেন ব্যাক্তিগত কারণে এক দিনের জন্য কোনো বিধায়ক অধিবেসনে উপস্থিত না থাকতে পারেন। এর জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই।

তখন অরুন চন্দ্র ভৌমিক টিপ্পনি করে বলেন, আসলে সি পি আই (এম) দল দেশদ্রোহি ও জাতীয় সঙ্গীতেরও বিরোধী। এই কথা শুনে বিরোধী বিধায়করা এক সঙ্গে প্রবল আপত্তি করেন।

তখন বি জে পি বিধায়কদের তরফে বলা হয় বিধায়কদের জীবন পঞ্জিতে সকলের ফোন নম্বর থাকলে মানিক সরকার'র জীবন পঞ্জিতে ফোন নাম্বার নেই। এতে সংযোজন করেন মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি বলেন, বিধায়কদের জীবন পঞ্জিতে তাদের বাবা-মা'র নাম থাকলেও মানিক সরকারের ক্ষেত্রে তার উল্লেখ নেই। তখন বিরোধী বিধায়করা বলেন সভায় ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে সময় নষ্ট করা হচ্ছে। তারা সভা থেকে ওয়াক আউট করেন।

আগেও মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মানিক সরকার'র নানা মন্তব্য ও সিদ্ধান্তে বিতর্কের সৃষ্টি হতো। তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘন্টা, ২০ জুন ২০১৮।
এসসিএন/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।