রোববার (৮ জুলাই) তুরস্কে আয়োজিত ‘আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।
রিও অলিম্পিকে ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসেবে দীপাই প্রথম সোনাজয়ী।
কিন্তু তিনি হাঁটুতে আঘাত পাওয়ায় গত দু’বছর কোনোও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেনি। সোমবার (৯ জুলাই) দুপুরে আগরতলার অভয়নগর এলাকার দীপার বাড়িতে গেলে তার মা গৌরী কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘মা হিসেবে মেয়ের সাফল্যে যে কতোখানি খুশি হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। এ খুশির কারণও রয়েছে। অনুশীলন চলাকালীন সময়ে দীপার হাঁটুতে আঘাত পায়। এজন্য তাকে অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে। এ কারণে দীপা প্রায় দুই বছর কোনো ধরনের প্রতিযোগিতার অংশ নিতে পারেনি। এ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করে ছিল। অনেকেই বলে ছিল দীপার খেলার জীবন শেষ। এসব সমালোচনা গায়ে না লাগিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে অনুশীলন করে তিনি সাফল্য পেয়েছেন তাতে আমি সত্যিই আনন্দিত। দীপাকে জিমন্যাস্টে সহযোগিতা করেছে ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিত রায় বাংলানিউজকে বলেন, দীপার সাফল্যে আমি খুবই খুশি। তার শক্ত মনোবলের জন্যই তিনি এ সাফল্যে অর্জন করতে পেরেছেন। ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আগেও দীপার পাশে ছিল আগামীতেও তার পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
এসসিএন/আরআইএস/