রোববার (২২ জুলাই) ও সোমবার (২৩ জুলাই) আগরতলার রাজ্য অতিথিশালায় এ নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০১০ সালে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল এ সংক্রান্ত বিষয়ে এম ও ইউ এবং পরিচালন নীতি স্থির করে।
বৈঠক শেষে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি আরও জানান, এ যৌথ দলটি ত্রিপুরা রাজ্যের কসবা সীমান্তের হাট ঘুরে দেখেছে রোববার। তারা হাটে আসা ব্যবসায়ী, ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার বিষয়ে জানেন।
‘কি করে সমস্যা সমাধান করা যায় এবং আরো কি কি সুবিধা যুক্ত করা যায় এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যৌথ কমিটির বৈঠকে। সেসঙ্গে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে আরো ছয়টি সীমান্তহাট স্থাপনের জন্য জমি চূড়ান্ত করা হবে। সীমান্তহাট পরিচালনার জন্য সুষ্ঠু নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো পরিচালনার কাজে যারা যুক্ত তাদের কাছে দেওয়া হবে যাতে পরিচালনাগত ত্রুটি দূর হয়। কারণ অনেকের সীমান্তহাট পরিচালনাগত সুস্পষ্ট ধারণা নেই।
পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সীমান্তহাট নীতি নির্ধারণ কমিটি প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর যৌথ বৈঠকের চেষ্টা করবে। প্রতিটি হাটের জন্য যৌথ হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটি রয়েছে, তারা নিয়মিত বৈঠক করছে না। তারা যাতে নিয়মিত বৈঠক করে। ’
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তহাটগুলো সপ্তাহে একদিন করে বসছে, তা কি বাড়ানো হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সফিকুল ইসলাম বলেন, উভয় দেশের স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা বিবেচনা করে পরবর্তী সময় বাড়ানো যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নতুন যে ছয়টি হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এর দু’টি হবে ত্রিপুরা রাজ্যে আর বাকি চারটি হবে মেঘালয় রাজ্যে।
যৌথ বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের যুগ্ম সচিব ভূপিন্দর এস ভাল্লা। তার সঙ্গে ছিলেন ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন আট সদস্য।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এসসিএন/আরবি/