এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। এদিন প্যারেডে সিকিউরিটি পর্যায়ে মোট ১১টি বাহিনী এবং বেসামরিক বিভাগের মোট ৭টি বাহিনীর সদস্য অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, রাজস্বমন্ত্রী এন সি দেববর্মা, ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেনসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ভারতকে এক উন্নত দেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতকে উন্নয়নের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা রাজ্যেও উন্নতি হচ্ছে।
‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্য এগিয়ে যাবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের ফেনী নদীতে সেতু তৈরি হলে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গেটওয়ের কাজ করবে ত্রিপুরা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগও আরো উন্নত হবে। ’
নারীর ক্ষমতায়নের জন্য পুলিশে ১০ শতাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নারীদের জন্য আগরতলায় একটি বিএড কলেজ স্থাপন করা হবে। রাজ্যে এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত আইটি হাব নির্মাণ করা হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হিরা প্রকল্পেরও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, রাজ্যের সব স্তরের বিশেষ করে সংখ্যালঘু, পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নের জন্য ত্রিপুরা সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। কৃষকদের উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আনারস রফতানির করা হচ্ছে, পাশাপাশি বাঁশ রফতানির বিষয়ে কাজ চলছে।
বাঁশ ও আনারসের ফল বাড়াতে চাষিদের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এসসিএন/এমএ