সোমবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় আরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স মহাকরণে এ প্রকল্প চালু হয়। সুবিধা ভোগীদের হাতে প্রকল্পের নথি তুলে দিয়ে এর প্রকল্পের সূচনা করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ, রাজ্যের মুখ্য সচিব সঞ্জীব রঞ্জন, স্বাস্থ্য দফতরের সচিব সমরজীৎ ভৌমিক প্রমুখ।
এই প্রকল্পের সূচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের চার লাখ ৯৮হাজার ২০ পরিবার সুবিধা পাবে। রাজ্যের ৭০শতাংশ মানুষ এ প্রকল্পের অধীনে রয়েছেন। প্রথমে প্রকল্পটি আগরতলার জিবি ও আইজিএম হাসপাতালে চালু হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে এ প্রকল্পটি অনলাইনের মাধ্যমে চালু হবে এবং সুবিধা ভোগীদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। পরে রাজ্যের ৬২টি এবং দেশের অন্য রাজ্যের হাসপাতালেও এই সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবার বছরে পাঁচ লাখ রুপি পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ বহন করবে ভারত সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ জানান, ২০১১ সালে ভারত সরকার দেশ ব্যাপী যে আর্থ সামাজিক অবস্থার জরিপ করে ছিল তার ভিত্তিতে সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের এ পরিষেবার জন্য প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন এ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের প্রমাণপত্র হাতে পেয়ে খুশি সুবিধা ভোগীরা। তারা এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এসসিএন/আরআইএস/