ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের তরফে আরএনআই’র কাছে অভিযোগ করা হয়েছিলো যে, এ সংবাদপত্রটি সংবাদপত্র প্রকাশের জন্য ভারত সরকারের যে নীতিমালা রয়েছে তা সঠিকভাবে মেনে চলছে না।
এ অভিযোগ যাচাই করে আরএনআই সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
আরএনআই’র এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে পত্রিকার পরিচালক মণ্ডলীর তরফে এক সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিপিআই (এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা ‘ডেইলি দেশের কথা’ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক-প্রকাশক এবং পত্রিকার বর্তমান পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য গৌতম দাস অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পত্রিকাটি বন্ধ করা হয়েছে।
তার অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পশ্চিম জেলার বর্তমান জেলা শাসক সন্দিপ মহাত্মে এ কাজ করিয়েছেন। তিনি রাজ্যের বর্তমান শাসক দল বিজেপির চাপের জন্য তা করা হয়েছে।
গৌতম দাস আরো অভিযোগ করেন, এ বছরের ৩ মার্চ বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ৪ মার্চ থেকে ‘ডেইলি দেশের কথা’ বন্ধ করার চক্রান্ত করে আসছে। শাসক দলের কর্মীরা পত্রিকার পাঠক, হকার, এজেন্ট এমনকি পরিবহনের কাজে যুক্ত লোকদের নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। এর জেরে এ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১০০০ হাজারের বেশি মানুষের কর্ম সংস্থানে প্রভাব পড়েছে। প্রত্রিকার ৪৮ হাজার কপি ছাপা কমে গিয়েছিলো। আর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরাসরি ২০০ জন মানুষের কর্ম সংস্থা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানান, তারা এর বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নেবেন।
তবে তারা কি আদালতে মামলা করবেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। এদিন সংবাদ সম্মেলনে সংবাদপত্রের অন্য কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
এসসিএন/আরবি/