তেমনি এক আকর্ষণীয় দুর্গা প্রতিমা এবং প্যান্ডেল তৈরি করছে আগরতলার রাধানগর এলাকার রাধামাধব উন্নয়ন সংঘ। প্রতিবছর তারা দুর্গাপূজার প্যান্ডেল তৈরি করেন শিশু-কিশোরদের বিনোদনের বিষয়টিকে মাথায় রেখে।
তাছাড়া প্যান্ডেলের বাইরের দিকটিকে সাজানো হচ্ছে হাওয়া দিয়ে ফোলানো পুতুল (পাম্প টয়েস) এবং স্মাইল বল দিয়ে। প্যান্ডেলটিও তৈরি হচ্ছে পুতুলের আদলে। এ প্যান্ডেল সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন ক্লাবের সদস্য মৃদুল দেবনাথ। বাংলানিউজের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় এমন সব সামগ্রী দিয়ে প্যান্ডেল এবং দুর্গা তৈরির চিন্তা মাথায় এলো কি করে? এর উত্তরে তিনি জানান, এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তখন দেখেন যে, সেখানে আসা বাচ্চাদের মধ্যে পাম্প টয়েসের চাহিদা খুব বেশি রয়েছে। তখনই তার মাথায় পরিকল্পনা আসে এ পুতুল দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির। এর জন্য ২০ হাজার পাম্প টয়েস এবং ৫ হাজার স্মাইলি বল আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা রয়েছে প্যান্ডেল তৈরির পর যদি কিছু পুতুল থাকে, তবে তা পূজার দিনগুলোতে শিশুদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে।
ক্লাবের সদস্য এবং পূজা কমিটির ক্যাশিয়ার স্বপন চক্রবর্তী জানান, এ বছর তাদের বাজেট ৭ লাখ রুপি এবং ষষ্ঠির সন্ধ্যায় দর্শকদের জন্য প্যান্ডেল খুলে দেওয়া হবে।
ক্লাব সদস্য ভাস্কর চক্রবর্তী জানান, বৃষ্টির কারণে প্যান্ডেলের কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে সময় মতো যাতে প্যান্ডেল ও দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া যায়, তার জন্য ক্লাব সদস্যরাও শ্রমিকদের সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছেন। সবাই মিলে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
তাদের আশা এ বছরও তাদের প্যান্ডেলে প্রচুর সংখ্যক ভিড় জমবে। বিশেষ করে কঁচিকাচারা তাদের অভিভাবকদের হাত ধরে এ পূজা প্যান্ডেল দেখতে ভিড় জমায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এসসিএন/আরবি/