রাজ্যের দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া এলাকার বাসিন্দা অঞ্জলী দে'র (৪৭) অভিযোগ, তার স্বামীর ব্রেনস্ট্রোক হয় গত মাসের শেষ দিকে। বিলোনিয়া হাসপাতাল থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হয়ে বেসরকারি আইএলএস হাসপাতালে নেন উন্নত চিকিৎসার জন্য।
আইএলএস হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বাবদ বিভিন্ন সময় তিনি দেড় লাখ রুপি দিয়েছেন। তাকে বলা হয় যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তাকে জানানো হয় তার স্বামী মারা গেছেন। তিনি তখন জানতে চান তিনি তো সুস্থ হয়ে উঠছিলেন, হঠাৎ মারা গেলেন কেন? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ওই নারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বামীকে বাঁচাতে তিনি নিজ বসতবাড়ি বিক্রি করেছেন। বাড়ি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করতে কিছু দেরি হয়েছিল। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা করেনি। রোগীর পরিবারের সামনে ভেন্টিলেশন লাগালেও তারা চলে গেলে ভেন্টিলেশন খুলে রেখে দিতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী নার্সরাও রোগীসহ তাদের পরিজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এর এসব কারণেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওই নারী।
অভিযোগ উঠেছে, মরদেহ আটকে রেখে আরো সাড়ে চার লাখ রুপি দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি বাধ্য হয়ে স্থানীয় নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় মামলা করেন আইএলএস এর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য চাপে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ ছেড়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান দেবাশিষ ধরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে জানান। তিনি হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার শুভময় ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। শুভময় ঘোষকে একাধিকবার ফোন করলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এসসিএন/এএ