এরমধ্যে, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের তিনটি, সমবায়ের মাধ্যমে পরিচালিত ১১টি ও বাকি ৪০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন চা বাগান। এই বাগানগুলির কাঁচাপাতা প্রক্রিয়া করার জন্য রাজ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২১টি চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে।
ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, নতুন সরকার আসার পর রাজ্যের চায়ের উন্নয়নের জন্য নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ১৯৮০ সালে চা উন্নয়ন নিগম গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত চা শিল্পের কোনো লোগো নেই। যা অন্যান্য রাজ্যের রয়েছে। তাই ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম একটি লোগো তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে তা ভারত সরকারের চা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুত এই লোগো অনুমোদন পাবে।
তিনি বলেন, আগরতলার পার্শ্ববর্তী দূর্গাবাড়ী এলাকায় ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের নিজস্ব চা পাতা প্রক্রিয়া করার কারখানা রয়েছে। এখান থেকে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। তবে এর কোনো ব্র্যান্ড নেই। তাই ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে নিগমের চা পাতার ব্র্যান্ডের নাম হবে ‘ত্রিপুরেশ্বরী চা’। এই নামে বাজারজাত করা হবে। এর পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যের চায়ের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এজন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে।
সন্তুষ সাহা বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত চা দিয়ে চাহিদা মেটে না তাই বিদেশ থেকে চা আমদানি করতে হয়। এক্ষেত্রে কিছু আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতের এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বাংলাদেশে চা রপ্তানির বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। তখন শেখ হাসিনা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন একটি চা নিলাম কেন্দ্র রয়েছে। এই নিলাম কেন্দ্রে ত্রিপুরা রাজ্যের চা নিলাম করার জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের মাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যের চা রপ্তানি শুরু হলে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। লাভবান হবেন রাজ্যের বড়, মাঝারি এবং ছোট চা চাষিরা।
বাংলাদেশে চা রপ্তানির কথা শুনে খুশি ত্রিপুরা রাজ্যের ঊনকোটি জেলার ফটিকছড়া এলাকার চা চাষি ধন্যমানিক্য দেববর্মা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এতে করে রাজ্যের চা চাষিরা যথাযথ মূল্য পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এসসিএন/এনটি