ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বড়দিনের আয়োজনে ব্যস্ত ত্রিপুরাবাসী

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
বড়দিনের আয়োজনে ব্যস্ত ত্রিপুরাবাসী দোকানে ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে বড় ও ধর্মীয় উৎসব হলো বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর। এই উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে সঙ্গে তাল মিলেয়ে এখন ত্রিপুরাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। বিশ্বব্যাপী খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্নভাবে বড়দিন উদযাপন করে থাকে।

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা প্রতিদিন বিকেল হলেই আগরতলা, মরিয়মনগর, নন্দননগর, জিরানীয়া, মান্দাই এলাকায় ক্যারোল নিয়ে বের হচ্ছেন কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্করা।

বিভিন্ন এলাকায় গির্জাগুলোতে করা হচ্ছে পরিষ্কার ও রঙবেরঙের প্রলেপ। পাশাপাশি চলছে বাড়ি-বাড়ি আলোকসজ্জা, গোশালা তৈরি, ক্রিসমাস-ট্রি সাজানোসহ নানা প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে ত্রিপুরাসহ বিশ্বব্যাপী খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। দোকানে ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বাংলানিউজরাজ্যের রাজধানীর শকুন্তলা রোড, আরএমএস এলাকা, মহারাজগঞ্জ বাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় বড়দিনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। বাজারগুলোতে নানা আকারের ক্রিস্টমাস-ট্রি, সান্তাক্লজের টুপি, ব্যাগ, জ্যাকেট, স্টার, ঘণ্টা, মুখোশসহ বিভিন্ন সামগ্রী রয়েছে। সামগ্রীগুলোর আকার, ধরণ এবং গুণমানের উপর ভিত্তি করে দামের পার্থক্য রয়েছে। সামগ্রীগুলো সর্বনিম্ন ৩০ রুপি থেকে শুরু করে এক হাজার রুপি পর্যন্ত রয়েছে।

রাজধানীর শকুন্তলা রোডের বিজয় বণিক এক বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, এখনও পুরোপুরি ক্রিস্টমাসের বাজার জমে উঠেনি। মাঝে মধ্যে দু’জন চারজন করে ক্রেতা আসছেন। কেনাকাটা করে নিয়ে যাচ্ছে। তবে উৎসবটি যত এগোচ্ছে তত বাজার জমবে। প্রতিবছরই এমনটা হয়ে থাকে। তাই প্রতিটি দোকানে প্রচুর সংখ্যায় বড়দিনের সামগ্রী মজুদ রেখেছেন বিক্রেতারা।

এদিকে আগরতলার-আখাউড়া রোডের আরএমএস এলাকার দোকানগুলোতে প্রতিবছর এ উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন আকার ও স্বাদের কেক তৈরি করে বিক্রি করা হয়। সাধারণ মানুষও দোকানগুলোতে ভিড় জমায়। উৎসবকে ঘিরে কয়েকটি দোকানে আবার ৬০ থেকে ৭০ কেজি ওজনের বিশাল আকারের কেক তৈরি করা হয়েছে। এই দোকানে এখনো নিত্যদিনের মতো সাধারণ কেক বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার সংখ্যাও সাধারণ দিনের মতোই রয়েছে। চার থেকে পাঁচদিন আগে চলে আসবে বড়দিনের স্পেশাল কেক। তখন যেমন থাকবে নানা আকারের তেমনি থাকবে নানা স্বাদেরও। তবে কিছু কিছু বড় বড় দোকানের মালিক তাদের প্রতিষ্ঠানের দিকে ক্রেতাদের নজর কাড়তে ইতোমধ্যে সান্তক্লজকে হাজির করেছে। এসব সান্তারা পথচলতি ছোট ছোট শিশুদের লজেন্স দিচ্ছে। আবার সান্যালের নিয়ে সেলফি তুলছেন তরুণ-তরুণীরা। সবমিলিয়ে বড়দিনকে কেন্দ্র করে এখন সেজে উঠছে ত্রিপুরা রাজ্যের শহর থেকে গ্রাম।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।