হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সেসঙ্গে বইছে কনকনে উত্তুরের শীতল হাওয়া।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ডিগ্রির আশ-পাশে ঘুরাফেরা করছে। টানা বৃষ্টির সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডার জেরে নাজেহাল ত্রিপুরাবাসী। যারা এই সময় ঘর থেকে বেরুচ্ছেন তারা ছাতা নিয়ে চলাফেরা করছেন। হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে ঠাণ্ডাও বেড়েছে। তাই এখন শীতের পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। দোকানিরা সুযোগ বুঝে পোশাকের দাম নিচ্ছেন চড়া।
রাজধানীর শকুন্তলা রোডের অস্থায়ী ভূটিয়া মার্কেটে ব্যবসায়ী সুরজ ভটিয়া বাংলানিউজকে জানান, শীতের পোশাকের বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। তবে হঠাৎ করে বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা জেঁকে বসায় ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। পাশাপাশি গরম পোশাকেও বিক্রি বেড়েছে। তাই তারা অনেকটাই খুশি।
এদিকে পৌষের শুরুতেই অকাল বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গ্রামগঞ্জে এখনও কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেননি। অনেক কৃষকের জমিতে পাকা ধান রয়েছে। কারও ধান মাঠে কেটে রাখা আছে। ক্ষতি হচ্ছে আলু চাষেরও। বৃষ্টির কারণে মাটির তলাতে আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। একইভাবে টমেটো, বেগুন, মটরশুটি গাছের গুড়ায় পানি দাঁড়িয়ে গেলে পচন দেখা দেবে। ফুলকপি ক্ষেতেও বৃষ্টির প্রভাব পড়বে বলেও জানান সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত মেলাঘরের চাষিরা।
এই এলাকায় ফুলকপি চাষের জন্য বিখ্যাত। কিন্ত বৃষ্টির কারণে ফুলকপি পচে যাবে। সবমিশিয়ে অকাল বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চাষিরা। একেই বলে কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসসিএন/এএটি