সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ বাজেট পেশ করেন তিনি। দ্বিতীয়বারও বিজেপি-আইপিএফটি সরকার ঘাটতিহীন বাজেট পেশ করলো।
২০১৯-২০ অর্থবছরের আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৩০ দশমিক ৪৬ কোটি রুপি। আর্থিক খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬ দশমিক ১৬ কোটি রুপি। শিক্ষা খাতে ৩ হাজার ৭৪২ দশমিক ৮২ কোটি রুপি, পূর্ত খাতে ১ হাজার ৫২৪ দশমিক ৭২ কোটি রুপি, গৃহ মন্ত্রণালয় খাতে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ৪৭ কোটি রুপি, কৃষি খাতে ১ হাজার ৪ দশমিক ১৫ কোটি রুপি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৯৬৪ দশমিক ৪৫ কোটি রুপি, জনজাতি কল্যাণ খাতে ৪৫৮ দশমিক ৩৪ কোটি রুপি, অর্থ খাতে ২৩৩ দশমিক ৭ কোটি রুপি, পরিকল্পনা খাতে ৩৩ দশমিক ৬৮ কোটি রুপি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন খাতে ২৮ দশমিক ৪২ কোটি রুপি এবং অন্যান্য খাতে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৬৪ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে।
যীষ্ঞু দেববর্মা বলেন, এ বাজেটে রাজ্যের সাধারণ মানুষের অবস্থার উন্নতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এজন্য নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্যও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু পালন, হাঁস পালন ও মাছ চাষের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। কৃষকদের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বাড়াতে বর্তমানে ১৩টি কৃষি বিকাশ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে, পরবর্তী সময় আরও এমন কেন্দ্র চালু করা হবে।
অটল জলধারা প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সামাজিক ভাতা ৭০০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ১০০০ রুপি করা হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রেও এ বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেণির ৩০ হাজার ছাত্রীকে বিনামূল্যে বাইসাইকেল দেওয়া হবে। স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা সম্পন্নকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। নার্সিং, প্যারা মেডিকেল ও বি এড কোর্সের ৩৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স করার জন্য ৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে সরকার ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। ইত্যাদি বিষয় এ বাজেটে রাখা হয়েছে বলেও জানান যীষ্ঞু দেববর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/