অন্যদিকে একইভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলার মুহুরীঘাট ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্সে (আইডিসি) উন্নীত করার জন্য ২০১৭ সালে আরেকটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয় ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৬ কোটি ৮৫ লাখ রুপি।
প্রকল্প দু’টির নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমকে। প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদারি সংস্থাও নিয়োগ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অনুমোদন না মেলায় এখনো কাজ শুরু করা যায়নি।
তবে বিজিবি’র কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বাংলদেশ অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু করা যাবে।
কিছুদিনের মধ্যেই অনুমোদন সাপেক্ষে কাজ শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
শুক্রবার (১ মার্চ) ত্রিপুরা বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিরোধী বিধায়ক মফস্বর আলির করা প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান বিপ্লব কুমার দেব।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওল্ড রাগনা বাজার ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে উন্নত করার লক্ষ্যে ১০ দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি খোয়াই জেলার ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে উন্নত করার লক্ষ্যে ৭ দশমিক ৫৬ একর জমি, ধলাই জেলার কমলপুর ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে উন্নত করার লক্ষ্যে ৬ দশমিক ৫০ একর জমি, দক্ষিণ জেলার আনন্দপাড়া ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে উন্নত করার লক্ষ্যে ৪৪ দশমিক ১৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। অন্যদিকে পশ্চিম জেলার নিশ্চিন্ত এলাকায় একটি ল্যান্ড কাস্টম স্থাপন করার জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব চলছে। এর জন্য ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আগরতলার আখাউড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) রয়েছে এবং সিপাহীজলা জেলার শ্রীমন্তপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স (আইডিসি) রয়েছে। এই সুসংহত স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী আসা-যাওয়াসহ পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এসসিএন/এসএ/এমজেএফ