ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় চার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
ত্রিপুরায় চার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনকালে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ত্রিপুরা রাজ্যের জ্বালানি ও গ্যাস অন্য রাজ্য থেকে আসে। প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে জ্বালানি ও গ্যাস আসতে কোনো কোনো সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চুক্তি হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় সরাসরি গ্যাস সিলিন্ডার আসবে সারা বছর। এতে ত্রিপুরায় কোনো গ্যাসের সমস্যা হবে না।

এ কাজে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ট্রাক ব্যবহার করা হবে। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে।  

শনিবার (২ মার্চ) আগরতলার এনজিসি’র অ্যাসেট কার্যালয় প্রাঙ্গণে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ওয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশন (ওএনজিসি) ত্রিপুরা রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করে। বর্তমানে তারা ত্রিপুরা রাজ্য থেকে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন কিউবিক ফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস উত্তোলন করছে। তা আরও বাড়ানো সম্ভব।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ত্রিপুরাকে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ কাজে ভারত সরকারও খুব সহযোগিতা করছে। তাই বাজেটের বাইরে গিয়ে কেন্দ্র সরকার ১৪শ কোটি টাকা দিয়েছে। আগামীতে আরও ৩০০ কোটি টাকা দেবে। আগের সরকার রাজ্যের সমৃদ্ধির জন্য তেমন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। ত্রিপুরাকে সবুজ রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট রাখা হয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হলো- ত্রিপুরার সিপাহীজলার সোনামুড়ায় ওয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) প্রাকৃতিক গ্যাস সংগ্রহ কেন্দ্র, পশ্চিম জেলার রাজ্য অতিথিশালা, আগরতলা বিমানবন্দর ও দুর্গাবাড়ী চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, গোমতী জেলায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে সিএনজি গ্যাস স্টেশন ও গ্যাস সরবারহ এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনজিসি’র চেয়ারম্যান শশী শঙ্কর, ও এনজিসি ত্রিপুরার অ্যাসেট ম্যানেজার জিকে সিংহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এসসিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।