তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসতেই কর্মী সমর্থকরা তার নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন, ফুলের তোড়া ও মালা গলায় পরিয়ে অভিনন্দন জানান।
তাকে ফুলে সাজানো একটি হুডতোলা গাড়িতে দাঁড় করিয়ে মোটরবাইকে মিছিল করে কংগ্রেস ভবনে নিয়ে আসেন।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, বিজেপি কি করছে না করছে তা নিয়ে না ভেবে কংগ্রেসকে কি করতে হবে তা নিয়ে প্রতিটি কর্মীকে ভাবতে হবে। দলের সভাপতি পদটি স্থায়ী নয় দল হলো স্থায়ী তা সবাইকে মনে রাখতে হবে। তার নেতৃত্বে দলের প্রতিটি কর্মীকে সম্মান জানানো হবে। বিজেপি এবং সিপিআই (এম) সহ অন্যান্য দল ছেড়ে যারা কংগ্রেস দলে আসবে তাদের সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই না, আমি চাই এই রাজ্যে কংগ্রেস দল ক্ষমতায় আসুক। যার ইচ্ছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে। এজন্য রাজ্যবাসীকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। এর আগেই ত্রিপুরা রাজ্যে পরিবর্তন সম্ভব। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে কংগ্রেস দল ক্ষমতায় আসবে। এর পরই প্রথম ত্রিপুরা রাজ্যে পরিবর্তন হবে বলে ঘোষণা দেন।
ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায়ই অভিযোগ উঠে কংগ্রেস ও সি পি আই (এম) দলের মধ্যে সমঝতা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে সি পি আই (এম) দল একটি পরিবারের বিরুদ্ধে বলে আসছে সেটি হলো প্রদ্যুৎ কিশোরের রাজপরিবার তাই তাদের সঙ্গে সমঝোতার কোনো প্রশ্নই আসে না বলেও জানান তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহ সভাপতি পিযুষ বিশ্বাস, সাবেক বিধায়ক গোপাল রায়, নারী কংগ্রেস নেত্রী লক্ষ্মী নাগ, সাবেক মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া প্রমুখ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে প্রদ্যুৎ কিশোরকে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এসসিএন/এএটি