মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এ কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা, রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, রাজ্যের শ্রম দফতরের সচিব চৈতন্য মূর্তি প্রমুখ।
এন সি দেববর্মা বলেন, গত তিন দশকের পরিসংখ্যান বলছে, কৃষি কাজ ছেড়ে মানুষ নানাক্ষেত্রে শ্রমজীবী হয়ে উঠছেন। জমি বিভাজিত হচ্ছে। মানুষ এখন আর পুরোপুরি কৃষি নির্ভরশীল নয়। সামাজিক পরিবর্তনের কারণে মানুষ শহরমুখী হচ্ছেন। এসব কারণে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা খুব প্রয়োজন। এ প্রকল্প তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুব উপযোগী।
শান্তনা চাকমা বলেন, নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রমিক অংশের মানুষের কল্যাণে নানা কাজ করছেন। তা এ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এদিনের প্রকল্পের সূচনা করা হচ্ছে দেশজুড়ে। ইতোমধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিক এ প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়বে। ১৮ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সী এবং যারা ১৫ হাজার টাকার নিচে মাসে রোজগার করেন এমন শ্রমজীবী মানুষ এ স্কিমের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিকটবর্তী সিএসসি সেন্টারে গিয়ে তারা আবেদন করতে পারবেন।
মূলত সারাদেশের অসংঘটিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পেনশনের আওতায় নিয়ে আসতে এ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এদিন মন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা ১৩ জন সুবিধা ভোগীর হাতে প্রকল্পের ই-কার্ড তুলে দেন। বয়স অনুসারে আলাদা আলাদা পরিমাণ অর্থ তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। সমপরিমাণ অর্থ সরকারও জমা করবে। ৬০ বছর পর তা সুদসহ ফেরত দেওয়া হবে অথবা পেনশন আকারেও নিতে পারবেন। এর আগে কোনো কারণে সঞ্চয়কারীর মৃত্যু হলে তার পরিবার এ অর্থ ফেরত পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/