রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ মন্তব্য করেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি পিযুষ বিশ্বাস।
এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে ইশতেহার দিয়েছিল, ভিশন ডকুমেন্ট নাম ছিল তার।
তিনি বলেন, বিজেপির ভিশন ডকুমেন্টে বলা হয়েছিল- এখানে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে পূরণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে কি হয়েছে, তা মানুষ জানতে চাইছেন।
‘ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে বলা হয়েছিল, কিন্তু ৫০ হাজার সরকারি পদ খালি থাকলেও একটিও পূরণ করা হয়নি। সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন দেওয়া হবে বলা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। প্রতিটি যুবককে স্মার্ট ফোন দেওয়ার কথা থাকলেও এখন বলা হচ্ছে একাংশ শিক্ষিত যুবকদের স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। সামাজিক ভাতা দুই হাজার রুপি করা হবে বললেও এখন তা বাড়িয়ে মাত্র এক হাজার রুপি করা হয়েছে, তাও আবার অনেক মানুষের নাম ভাতা প্রকল্প থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’ উল্লেক করেন পিযুষ বিশ্বাস।
পিযুষ বিশ্বাস বলেন, বিজেপি মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে হঠাৎ করে গত বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তা কংগ্রেসের ভোটেই হয়েছে। এই ভোট আবার কংগ্রেসে চলে আসছে। তাই আগামী নির্বাচনে বিজেপির ভোট ২ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যে কংগ্রেসের লড়াই হবে বিজেপি এবং সিপিআই দলের সঙ্গে সমানভাবে। নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিআই জোট হওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এসসিএন/টিএ