ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের রেকর্ড আয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের রেকর্ড আয় বক্তব্য রাখছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের আয় হয়েছে ১২৫ দশমিক ৪৫ কোটি রুপি, প্রবৃদ্ধির হার ১৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ, যা ১৯৭৬ সালে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে সর্বোচ্চ। 

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে আগরতলার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী।  

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকের ব্যবসা হয়েছিল ৮৩৩২ দশমিক ১২ কোটি, ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে ৯২৬৭ দশমিক ৪৫ কোটি রুপি।

এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জমা হয়েছে ৬৬৯১ দশমিক ৭৭ কোটি রুপি। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ ও আগাম হিসেবে দেওয়া হয়েছে ২৫৭৫ দশমিক ৬৮ কোটি রুপি। ভারত সরকারের মুদ্রাঋণ প্রকল্পে এ বছর রাজ্যে ২০০ কোটি রুপি দেওয়া হয়েছে।

মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী বলেন, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের এ সাফল্য জাতীয় স্তরে প্রথমস্থান অধিকার করেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে রাজ্যের জনগণের সহযোগিতা ও ব্যাংকের প্রতি ভালোবাসার জন্য। আগামীতেও রাজ্যবাসী এভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করেন তিনি।  

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের নিজস্ব ৮টি এটিএম বুথ রয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে আরও ৬টি বুথ চালু করা হবে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংকের শাখাগুলোতে মোট ৮৩৫ জন কর্মচারী রয়েছেন। এ বছর আরও ১৫০ জন নতুন কর্মী নিয়োগ করার পরিকল্পনা আছে।  

তিনি বলেন, রাজ্যের গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকায় ব্যাংকের পরিষেবা আরও বাড়ানো করা হচ্ছে। এখন সবক’টি শাখা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত, তাই পাহাড়ি এলাকায় মাঝে মাঝে সমস্যা হচ্ছে। যদিও এ সমস্যা ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কারণে। তারপরও, এগুলো দূর করার জন্য অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক উপকরণ পরিষেবায় যুক্ত করা হচ্ছে।  

মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী আরও বলেন, গ্রাহকরা যেন ব্যাংকে না এসে ঘরে বসেই সেবা পেতে পারেন, এজন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অন্য পরিষেবা যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখাও বাড়ানো হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এসসিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।