শনিবার (৩ আগস্ট) প্রতিমা ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, লোকসভা অধিবেশনের ‘জিরো আওয়ারে’ স্পিকারের মাধ্যমে ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের (ডোনার) মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিংয়ের কাছে এই দাবির কথা জানিয়েছি। কারণ এটি ডোনার মন্ত্রণালয়ের অধীনেই রয়েছে।
প্রতিমা ভৌমিক বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে বিপুল পরিমাণ আনারস উৎপাদিত হয়। এ রাজ্যের ক্যুইন ও কিউ প্রজাতির আনারস স্বাদে বিশ্ববিখ্যাত। এ কারণেই এনইআরএএমএসি ত্রিপুরা রাজ্যের ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট এলাকায় একটি আনারস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছিল। যেখানে রাজ্যের উৎপাদিত আনারস প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্যাকেটে করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসহ বিদেশে রপ্তানি করা হতো। পাশাপাশি আনারসের জুস, জ্যালিসহ নানা রকমের খাদ্যও তৈরি করা হতো।
‘এ কেন্দ্র চালু থাকা অবস্থায় ত্রিপুরার পাশাপাশি আসামের করিমগঞ্জ ও তার আশপাশের এলাকাসহ মিজোরামেরও কিছু এলাকা থেকে আনারস প্রক্রিয়াকরণের জন্য এখানে নিয়ে আসা হতো। ফলে এ রাজ্যের পাশাপাশি সেই সব অঞ্চলের চাষিরাও আর্থিকভাবে লাভবান হতেন। এছাড়া ত্রিপুরার বেশ কিছু লোকের কর্মসংস্থানও হয়েছিল। ’
কিন্তু গত ১৫ বছর আগে তৎকালীন সরকারের আমলে এই আনারস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ত্রিপুরা রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর আনারস চাষে গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমানে এ রাজ্যে উৎপাদিত আনারস বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। চাষিদের মধ্যেও আনারস চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
তাই এই আনারস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র পুনরায় চালু হলে রাজ্যসহ আসাম ও মিজোরামের লোকজনও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তেমনি ত্রিপুরাতেও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
সবশেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন, এমনটাই আশা করেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন প্রতিমা ভৌমিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এসসিএন/এসএ