বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কর্মশালায় পুরা সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা, শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, রাজ্যের মুখ্য সচিব ড. ইউ ভেঙ্কটেশ্বরলু, রাবার বোর্ডের ত্রিপুরা শাখার ডিরেক্টর কে এন রাগভন, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব এস আর কুমার, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের ডিরেক্টর কিরণ গিত্যে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। রাজ্য সরকার কুটির শিল্প, কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, রাবার চাষাবাদের কারণে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে পড়ছেন, উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন।
রাবারের গুণগত মান আরও একটু উন্নত হলে বছরে ১০০ কোটি রূপি উপার্জন সম্ভব। শুধু রাবারই নয়, রাজ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল-যোগ করেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
রাবার চাষিদের সহযোগিতায় এ বছর ৫০ লাখ রূপি ঋণ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, বর্তমানে রাজ্যে বছরে ৭৪ হাজার মেট্রিক টন রাবার উৎপাদন হয়। এ পরিমাণকে ১ লাখ মেট্রিটটন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। দেশের প্রয়োজনীয় ১২ শতাংশ রাবার ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপাদিত হয়।
কর্মশালা শেষে রাবার চাষের সঙ্গে যুক্ত তিন স্বসহায়ক দলের হাতে আর্থিক সহায়তার অঙ্গীকারপত্র তুলে দেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসসিএন/ওএইচ/