শনিবার (১০ আগস্ট) রাজ্যের রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরা শাখা, ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন দপ্তর, ত্রিপুরা কৃষি কলেজ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিসার্চের ত্রিপুরা শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রোরাল ডেভলাপম্যান্টের ত্রিপুরা শাখার যৌথ উদ্যোগে হচ্ছে এ কর্মশালা।
কর্মশালার উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত ও ত্রিপুরা রাজ্যে খুব কমসংখ্যক কৃষিজাত দ্রব্যের প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে। তাই এসব বিষয় নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করলেই চলবে না, এ বিষয়গুলোকে কী করে বাস্তবায়ন করা যায় এ জন্য কাজ করতে হবে। ভারতে যেসব উপকরণ রয়েছে তাকে কী করে কাজে লাগানো যায়, কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাতকরণ করা যায় এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এটা করতে পারলে অনেক কম খরচে কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব। পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যে রাবার, আনারস, গমসহ আরও কিছু ফসল খুব ভালো মানের হয়। এ সব ফসল ও শস্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করতে হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান তিনি কৃষিপণ্য প্যাকেজিং, মার্কেটিংয়ের বিষয়ে পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সরকারের কৃষি দপ্তরের মন্ত্রী প্রাণজীৎ সিংহ রায় বলেন, পণ্যের উৎপাদন কীভাবে বাড়নো যায় এবং অন্য রাজ্যে রফতানি করা যায় এ কর্মশালা বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেবে। সাবেক সরকার শুধু ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিত। এখন পরিস্থিতি বদলেছে।
এতে মুখ্যমন্ত্রী, কৃষি দপ্তরের মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সহ-সভাপতি স্বপন ভৌমিক, এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান এম চৌবেগৌড়া, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরা শাখার চেয়ারম্যান টি লোধ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি