কৃষিক্ষেত্রে কারিগরি প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘শস্যের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও তার আর্থিক মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, রাজ্যের অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি গোলমরিচ চাষেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রথাগত পদ্ধতিতে গোলমরিচ চাষ করেন এ অঞ্চলের মানুষরা। বিশেষ করে জনজাতি অংশের মানুষ সুপারিসহ অন্যান্য গাছে এ গোলমরিচের লতা তুলে দেন। এতে করে তেমন বেশি যত্ন নিতে হয় না। পাশাপাশি গোলমরিচ চাষে তেমন অর্থও খরচ করতে হয় না। এরপরও প্রতি বছর রাজ্যে প্রায় ৯শ মেট্রিক টন গোলমরিচ উৎপাদন হয়।
কিন্তু এগুলো সংরক্ষণ, প্যাকেজিং, বিপণন ও ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হচ্ছে না। তাই চাষিরা এর সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। যেখানে শুকনো গোলমরিচ প্রতি কেজি ৮শ' থেকে ৯শ রূপি বিক্রি হয়, সেখানে ত্রিপুরার জনজাতি অংশের মানুষ প্রতি কেজি গোলমরিচ ৩০ রূপিতে বিক্রি করছেন। অথচ এ গোলমরিচ শুকাতে বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হয় না। এক সপ্তাহের মধ্যে রোদে শুকানো সম্ভব। শুকিয়ে বিক্রি করলে চাষিরা অনেক বেশি লাভবান হবেন।
এছাড়া সুপারিসহ অন্যান্য গাছ থেকে গোলমরিচ সংগ্রহ করতে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হয়। বাঁশের ছোট ছোট মাচা করে গোলমরিচ চাষ করলে খুব সহজে ফসল সংগ্রহ করা যাবে। তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গোলমরিচ চাষে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ত্রিপুরা সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব ফসল চাষ করলে রাজ্যকে খুব দ্রুত আর্থিকভাবে লাভবান করা সম্ভব হবে, সেই সব ফসল চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু কিছু চা বাগানেও বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষ শুরু হয়েছে। চা গাছকে প্রখর রৌদ্রের হাত থেকে বাঁচাতে ছায়াযুক্ত গাছ লাগানো হয়ে থাকে। এ সব গাছে গোলমরিচের লতা তুলে দেওয়া হয়। এ থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগ রয়েছে। আগরতলার পার্শ্ববর্তী দুর্গাবাড়ী এলাকার এমন একজন ক্ষুদ্র চা চাষি গোপাল চক্রবর্তী।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, এখনও তার বাগানে বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষ শুরু হয়নি। এরজন্য বাড়তি খরচ নেই। গোবর ও জৈব সার ব্যবহার করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এসসিএন/ওএইচ/