শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা সরকারের বন দফতরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যসচিব ডা. ইউ ভেঙ্কটেশ্বরলু, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (বন দফতর) মনোজ কুমার, রাজস্ব দফতরের প্রধান সচিব বি কে সাহু প্রমুখ।
এছাড়াও কর্মশালায় ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত সাধারণ জনগণ যারা বনের ওপর ভিত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন।
ত্রিপুরা সরকারের বন দফতর ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ত্রিপুরা শাখার যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতি অংশের অনেক মানুষ বনাধীকারের হাত থেকে পাট্টা পেয়েছেন। কিন্তু সাবেক সরকার জমি চিহ্নিত করে না যাওয়ায় তারা নিজের জমি কোথায় বলতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। জমি চিহ্নিত না করতে পারায় তারা জমি ব্যবহার করতে পারছে না। সুবিধা নিতে পারছে না। তাই তিনি এদিন জাইকার কর্মীদের নির্দেশ দেন, যেন তারা দ্রুত এ জমি চিহ্নিত করে পাট্টা পাওনাদারদের হাতে তোলে দেন। এছাড়া এ জমিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গোলমরিচ চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি সুপারি গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেন।
জনজাতি এলাকায় সবচেয়ে বেশি আনারস উৎপাদিত হয়। তাই আরও বেশি পরিমাণ আনারস লাগানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এখন ত্রিপুরার আনারস বিদেশেও রপফতানি হচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান অর্থনীতি আট হাজার কোটি রুপি থেকে ১৬ হাজার কোটি রুপিতে উন্নীত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। এর জন্য ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকার কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের পাট্টা পাওনাদাররা বছরে সরকারের কাছ থেকে ছয় হাজার রুপি করে পাবে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার কথা চিন্তা করে বনের অধিক ক্ষতি না হয় সে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/