ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রক ও ত্রিপুরা সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘সমর্থ’ প্রকল্পের অধীনে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের মন্ত্রী স্মৃতি ইরাণী এক টুইট বার্তায় এ ঘোষণা দেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়তে রাজ্যের তাঁতশিল্পীদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে। বিশেষ করে জনজাতিদের মধ্যে। কারণ তাদের হস্ত তাঁতের সামগ্রী খুব সুন্দর হলেও এখন ধীরে ধীরে এগুলোর প্রচলন কমে আসছে। জনজাতি অংশের মানুষ বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া এগুলো খুব বেশি ব্যবহার করে না। তাই এখন বেশির ভাগ জনজাতি অংশের মানুষ এগুলো তৈরি করতে পারে না। তাদের পরিধানের কাপড়কে বলা হয় রিশা ও পাছরা। এগুলোতে অনেক নকশা থাকে। এখন এসব নিয়ে আর বিশেষ কাজ হয় না বলে অনেক নকশা হারিয়ে যেতে বসেছে। পশ্চিম জেলার মান্দাই এলাকার গৃহবধূ তরুলতা দেববর্মা বলেন, আগরতলা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরের এ এলাকায় আগে প্রায় সব ঘরে তাঁতে কাপড় তৈরি করা হতো। এখন খুব কম ঘরে কাপড় তৈরি হয়।
তিনি বলেন, নতুন সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, জনজাতিদের এ রিশা ও পাছরাকে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সরকার এ কাজ করলে জনজাতি অংশের মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং তাদের অবস্থার উন্নতি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/