ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

নানা আয়োজনে ত্রিপুরার শেষ মহারাজার জন্মতিথি উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
নানা আয়োজনে ত্রিপুরার শেষ মহারাজার জন্মতিথি উদযাপন

আগরতলা (ত্রিপুরা): নানা আয়োজনে ত্রিপুরার শেষ মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের ১১১তম জন্মতিথি উদযাপিত হচ্ছে। 

এ উপলক্ষে সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে বীরবিক্রম ফ্যান ক্লাবের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়াও দু'দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সূচনা করা হয়েছে।

 

এদিন রাজধানীর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের পার্শ্ববর্তী চন্দ্র মহলে আয়োজিত এ চিত্র প্রদর্শনীতে ত্রিপুরার শেষ মহারাজা তথা আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের আলোকচিত্র নিয়ে সাজানো হয়েছে।  

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের স্ত্রী নীতি দেব, ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য ও বীরবিক্রমের ছেলে তথা ত্রিপুরা প্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ বিক্রম কিশোর দেববর্মা, রাজপরিবারের আরও এক সদস্যা বীরবিক্রমের মেয়ে প্রজ্ঞা দেববর্মা, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের অবজারভার ভূপেন বরা, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র তাপস দেসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনরা।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নীতি দেব বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম একটি রাজ্য হলেও শেষ মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের মন ছিল বিশাল বড়। তিনি পারলে সবাইকে এ রাজ্যে স্থান করে দিতেন। তাছাড়া তিনি এ রাজ্যটিকে উন্নত একটি রাজ্যে পরিণত করার জন্য অনেক কাজ শুরু করে গেছেন।  

প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মণ বলেন, মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর খুব অল্প বয়সেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। মাত্র সাতাশ-আটাশ বছর বয়সেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে হিটলার মুসোলিনি টুয়েলভ এর মত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচিতি করেছিলেন। তিনি প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।  

তিনি আরও বলেন, মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর আরও কিছুদিন বেঁচে থাকলে ত্রিপুরার চেহারাটাই অন্য রকম হতো।

ইন্ডিয়ান ন্যশনাল ট্রাস্ট অব আর্ট অ্যান্ড কালচার দু'দিনব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

এদিন বিকেলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নানা ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জন্মতিথি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।