ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ-স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সূচনা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ-স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সূচনা  প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩ বছরব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট। 

এ কর্মসূচির সূচনা হলো ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শহরে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিন বছরব্যাপী এ কর্মসূচির শুভারম্ভ করেন ট্রাস্টের পরিচালক মণ্ডলী।

 

সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা তথা কুমিল্লা সদরের এম পি আ ক ম বাহারউদ্দিন বাহার, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো আজিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহালানবীশ, মুক্তিযোদ্ধা ড. আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।  

মুক্তিযোদ্ধা তথা কুমিল্লা সদরের এম পি আ ক ম বাহারউদ্দিন বাহার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৬২ সালের আগে পর্যন্ত আমরা নিজেদের ত্রিপুরার লোক বলে মনে করতাম কারণ এর আগে পর্যন্ত আমাদের জেলার নাম ছিলো ত্রিপুরা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসীর বিশেষ করে ত্রিপুরাবাসীর অবদান ভুলবার নয়। কারণ তখন নিজ রাজ্যের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি শরণার্থীদের আপন করে নিয়েছিল ত্রিপুরাবাসী। নিজ ঘরে ঠাঁই দিয়েছিল, নিজেদের খাবার ভাগ করে খেয়েছিল। তাই ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় এক কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ভাগ করা যাবে না। সেদিন ত্রিপুরাবাসী কেমন অবস্থায় আমাদের আপন করে ছিল তা এখন আমরা অনুভব করতে পারি আমাদের দেশে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি দিয়ে।

অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ জানান, ত্রিপুরা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরা তথা ভারতবাসী, খাবার, জায়গা, অস্ত্রসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে হাত বাড়িয়েছিল বলে মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা স্মরণ করেই ট্রাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩ বছরব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা আগরতলা শহর থেকে করছে।  

তিনি আরও জানান, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরায় নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সূর্য্যমনিনগর, সোনামুড়াসহ ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের যে সব ক্যাম্প ছিল এগুলো তারা ঘুরে দেখবেন। সেই সঙ্গে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আগরতলায় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তর এবং আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন শেষে উপস্থিত সবাই আগরতলা পোস্ট অফিস চৌমুহনীস্থিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনা জওয়ানদের স্মৃতিতে নির্মিত শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
 
এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে এদিন বিকেলে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মোট ৩৫ সদস্যের একটি দল আগরতলায় এসেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এসসিএন/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।