ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় ইন্দো-বাংলা সেতুবন্ধনের সাংস্কৃতিক উৎসব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
আগরতলায় ইন্দো-বাংলা সেতুবন্ধনের সাংস্কৃতিক উৎসব

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারত ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীদের যৌথ উদ্যোগে গঠিত সামাজিক সংস্থা ‘ইন্দো-বাংলা সেতুবন্ধন’র উদ্যোগে আগরতলায় সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার মুক্তধারা অডিটরিয়ামে ইন্দো-বাংলা সেতুবন্ধনের প্রথম সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক মানিক দে, লেখিকা ও অভিনেত্রী অজন্তা দেববর্মা, বাংলাদেশ থেকে আগত সমাজসেবী আবু আলী, আইনুল হক, তোফাজ্জল হোসেন, সফিকুল ইসলাম বাবুল, শাখাওয়াত হোসেন, হিরণ প্রধান প্রমুখ।

ত্রিপুরা রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, আজ আমরা বিভাজিত হলেও এক সময় আমরা সবাই এক ছিলাম। ভারত ও বাংলাদেশের সরকার উভয় দেশের মধ্যকার মৈত্রীর সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার জন্য কাজ করছেন। মৈত্রীর সম্পর্ক যত মজবুত হবে, উভয়দেশের উন্নতি তত দ্রুত হবে।  ত্রিপুরার মানুষ  বাংলাদেশেকে বিদেশ বলে মনে করে না। নিজ ঘর বলেই মনে করে। এই মৈত্রীর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমাজের সব স্তরের মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।

সমাজসেবী আবু আলী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে ত্রিপুরার সঙ্গে। কারণ ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের খাদ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে। রাজনৈতিক কারণে আলাদা হয়েছে ঠিক। তবে দুই দেশ আলাদা আলাদা ব্যবস্থা বজায় রেখেই উভয়দেশের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বাংলা ভাষার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষাকেও এগিয়ে নিতে সবাইকে আহ্বান জানান।  

আলোচনা সভা শেষে পরিবেশিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান ও নৃত্যসহ কবিতা পাঠ করেন শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর, ২০১৯
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।