শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আগরতলার পাশের দুর্গাবাড়ী টী ওয়ার্কার্স কোঅপারেটিভ সোসাইটি প্রাইভেট লিমিটেডের চা পাতা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের ম্যানেজার বাংলানিউজকে জানান, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে চা প্রক্রিয়াকরণের কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে কারখানায়। শুকনো মওসুম চলায় চা পাতা এখন উৎপাদিত হচ্ছেনা।
তিনি জানান, চা পাতা প্রক্রিয়াকরণের কাজ বন্ধ থাকার এ সময় কারখানার বিভিন্ন মেশিনের বার্ষিক সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। কারখানার কয়লার চুল্লি থেকে শুরু করে সবক’টি মেশিন খুলে মেরামত ও রঙ করা হচ্ছে, যাতে আগামী মৌসুমে সারাবছর মেশিনগুলো সঠিক ভাবে কাজ করে।
এ কারখানায় দৈনিক ৩০ হাজার কেজি পর্যন্ত চা উৎপাদন করা সম্ভব হয় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচা চা পাতা থাকলে বছরে সাত লাখ কেজি চা উৎপাদন করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
এদিকে চা গাছ থেকে কাঁচা পাতা তোলার কাজ বন্ধ থাকলেও বসে নেই চা শ্রমিকরা। তারা এখন বাগানের গাছের কলম কাটতে ব্যস্ত। এর মাধ্যমে তারা গাছের উপরের সব সবুজ পাতা নির্দিষ্ট পরিমাণ ডালসহ কেটে ফেলেন। এতে গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ যেমন কম হয়, তেমনি কাটা অংশ থেকে নতুন কুঁড়ি বের হয়। যার ফলে বেশি পরিমাণে কচি পাতা পাওয়া যায়।
চা বাগানে কাজ করা স্বপ্না গোয়ালা নামে এক মহিলা শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা মজুরির ভিত্তিতে চা গাছ কাটার কাজ করেন। এরপর বাড়তি সময়ে কাজ করলে গাছ পিছু এক রুপি করে তারা মজুরি পান।
তিনি জানান, গাছ কাটার কাজ সব শ্রমিক করতে পারেন না। এর জন্য দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ চা গাছের ডাল ধারালো দা দিয়ে কেটে ফেলতে হয়। যদি চা গাছের ডাল কাটার কাজ সঠিক ভাবে না হয় তবে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে এবং সঠিকভাবে কুঁড়ি গজাবে না। এতে চা উৎপাদন কমে যাবে। তবে প্রথম বৃষ্টি বা বাগানে পানি সেচ দেওয়ার পর যখন কুঁড়ি গজায় তখন মানুষসহ পশু যাতে বাগানে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়। কারণ কুঁড়িগুলো ভেঙ্গে গেলে পাতা গজাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এসসিএন/এবি