শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরার আগরতলায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব বলেন।
আগরতলার রবীন্দ্র ভবনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিরীটি চাকমা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ত্রিপুরা রাজ্য সরকার এবং বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ত্রিপুরার মানুষের বাংলা ভাষার প্রতি অনেক টান। তারা বাংলাদেশের ভাষা ও ইতিহাস সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল। অনেক ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের মানুষের চেয়েও ইতিহাস ভালো জানে। কেননা দেশভাগের আগে এখানের অনেকের পূর্ব পুরুষের বাড়ি ছিল বাংলাদেশে। তবে এখানে এসে একুশের ইতিহাস আমি নতুন করে শিখেছি। অনেক প্রবীণ লোকের দেখা পেয়েছি। তারা একুশের ইতিহাস খুব ভালো জানেন। ছোটবেলায় আমরা যেভাবে একুশের ইতিহাস পড়েছি, এখানে এসে ভিন্ন ইতিহাস জেনেছি। যেমন, শিলচরে ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিল। ভাষার জন্য ত্রিপুরার ধনঞ্জয় জীবন দিয়েছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও সহকারী বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আগরতলা শহরে প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়। প্রভাত ফেরিটি রবীন্দ্র ভবনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ভাষা শহীদ মিনার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সহকারী বাংলাদেশ হাইমিশন। এছাড়াও এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ প্রভৃতি সংগঠন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
টিআর/এসএইচ