ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

শুরু হলো ৩৮তম আগরতলা বইমেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
শুরু হলো ৩৮তম আগরতলা বইমেলা আগরতলা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা(ত্রিপুরা): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় শুরু হয়েছে ৩৮তম আগরতলা বইমেলা।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আগরতলার পাশের হাঁপানিয়ার আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, শিক্ষা ও আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ, রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা, দুই বিধায়ক মিমি মজুমদার এবং রামপ্রাসাদ পাল প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন,বই হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। মানুষের বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ হতে পারে কিন্তু বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হলে তবে আর বিচ্ছেদ হয় না। ১৯৮১সাল থেকে আগরতলা বইমেলা শুরু হয়েছে, কিন্তু এ বছরের বইমেলা ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেন, মানব সভ্যতা যতদিন থাকবে ততদিন বই থাকবে। তবে এটি কি আকারে থাকবে তা ভাবার বিষয়। সেটি ই-বুক হতে পারে বা অন্য কোনো অবস্থায় থাকতে পারে। আমরা চাই কাগজের বই থাকুক। তবে এই সময় কাগুজে বই প্রতিযোগিতার মুখে। তাই বইমেলা করে বইয়ের প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এবছর বইমেলায় মোট ১২৯টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি ত্রিপুরা রাজ্যের, বাংলাদেশ থেকে একটি, পশ্চিমবঙ্গের ৩৯টি, গৌহাটি থেকে ছ’টি, নয়াদিল্লী থেকে ছ’টি এবং অন্য রাজ্য থেকে দু’টি স্টল এসেছে।

বইমেলার মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এতে ত্রিপুরা রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্পীরাও অংশ নেবেন।

৮ মার্চ (রোববার) মেলা শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এসসিএন/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।