ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরায় বর্জ্য থেকে হবে জৈব সার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২০
ত্রিপুরায় বর্জ্য থেকে হবে জৈব সার

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার বিভিন্ন বাজারের পচনশীল বর্জ্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জৈব সার উৎপাদন করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও পরিবেশ দফতরের অন্তর্গত বায়োটেকনোলজি বিভাগ। এজন্য রাজ্যেটিতে একটি প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে এখন পরিবেশগত অন্যান্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে শহরাঞ্চলের বাজারঘাটে জমে থাকা নিত্যদিনের পচনশীল বর্জ্য থেকে পরিবেশের ক্ষতি না করে সঠিক ভাবে প্রক্রিয়াজাত করা। যেসব শহর এলাকায় জনসংখ্যা যত বেশি সেই এলাকায় বর্জ্য সমস্যা তত বেশি। এসব বর্জ্য সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছেন।  

এ সমস্যা থেকে মুক্ত নয় ত্রিপুরা রাজ্যও। শহরের জমে থাকা বর্জ্যকে কি করে প্রক্রিয়াকরণ ও কাজে লাগানো যায় তার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও পরিবেশ দফতরের অন্তর্গত বায়োটেকনোলজি বিভাগ। ইতোমধ্যে তারা ত্রিপুরা রাজ্যে জমে থাকা পচনশীল বর্জ্য খুব দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করে পরিবেশকে নির্মল রাখার একটি পরিকল্পনা নিয়েছেন।

পচনশীল বর্জ্য পদার্থকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য এই প্রথম একটি প্ল্যান্ট রাজ্যে বসানো হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. অঞ্জন সেনগুপ্ত।
 
তিনি জানান, এ প্ল্যান্টটি স্থাপন করার কাজ করছে ত্রিপুরা রিনেওয়াবল এনার্জি ডেভলপমেন্ট এজেন্সি (ট্রেডা), প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিল।

প্রথম পর্যায়ে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলা অন্তর্গত বিশ্রামগঞ্জ বাজারে এ প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হবে। এজন্য ইতোমধ্যে প্ল্যান্টির জায়গা নির্ধারণ হয়েছে। প্ল্যান্টটিতে কাজ শুরু হলে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে। তারপর প্রক্রিয়াজাত অবশিষ্ট বর্জ্যের সঙ্গে আরও কিছু জৈব পদার্থ মিশ্রিত করে চাষের কাজে ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে বিশ্রামগঞ্জ বাজারে জৈব বর্জ্য পদার্থকে দ্রুত প্রক্রিয়া করার জন্য একটি প্ল্যান্ট বসানো হলেও পরবর্তীতে রাজ্যের অন্যান্য বাজারগুলোতেও এ ধরনের প্ল্যান্ট বসানো হবে বলেও জানান ড. অঞ্জন।

প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য খরচ কত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. অঞ্জন বলেন, একেকটি প্ল্যান্ট কি পরিমাণ পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম তার ওপর নির্ভর করে খরচ। প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য ট্রেডাকে ১৪ লাখ রুপি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত এ প্ল্যান্টটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলেও জানান বিজ্ঞানী ড. অঞ্জন।


বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২০
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।