আগরতলা (ত্রিপুরা): প্রাথমিক পর্যায়ে দুই পদ্ধতিতে রসালো ফল কাঁঠালকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরার জন্য ত্রিপুরা সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি দফতরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়।
সম্প্রতি বাংলানিউজকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন প্রণজিৎ সিংহ রায়।
প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, আনারস ছাড়াও রাজ্যে কাঁঠাল ও লেবুসহ অনেক মৌসুমি ফল উৎপাদিত হয়। রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের এখন মূল পরিকল্পনা হচ্ছে এসব মৌসুমি ফল ত্রিপুরার গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা ভারতসহ বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবার কাঁঠাল এবং লেবু প্রক্রিয়াজাত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্যের ফল চাষিরা লাভবান হবেন, অন্যদিকে তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এরই মধ্যে সরকার রাজ্যের বেকার তরুণ-তরুণীদের ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়ে ছোট ছোট ফল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর রাজ্যে বিপুল পরিমাণে কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এ কাঁঠাল রাজ্যের মানুষের চাহিদা পূরণ করার পরও প্রায় অর্ধেকের বেশি উদ্বৃত্ত থেকে যায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কাঁঠাল উৎপাদিত হলেও ত্রিপুরার কাঁঠাল যেমন সুস্বাদু, তেমনি রসালো। তাই সরকার কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির নিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে দুই পদ্ধতিতে কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করা হবে। প্রথমটি পাকা কাঁঠালের কোষগুলোকে প্যাকেট করে, দ্বিতীয়টি কাঁঠালের জুস তৈরি করে প্রক্রিয়াজাত করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরায় সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। কাঁঠাল গাছে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেন না চাষিরা। বিশ্বজুড়ে এখন সব ধরনের অর্গানিক ফসলের চাহিদা বেশি। সবমিলিয়ে বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের বিশেষ করে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কারণ তারাই হচ্ছে সমাজের অন্নদাতা।
আগরতলার পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি এলাকার বাসিন্দা দেবাশীষ দাশ বাংলানিউজকে জানান, তাদের বাড়িতে পাঁচটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। সবগুলো গাছে কাঁঠাল ধরে। নিজের চাহিদা মিটিয়েও প্রচুর সংখ্যক কাঁঠাল থেকে যায়। তাই সরকারের এ উদ্যোগে তিনি খুশি। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কাঁঠাল চাষিরা লাভবান হবেন এবং রাজ্যে কাঁঠাল চাষ বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এসসিএন/ওএইচ/