আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় মুক্তা চাষের পরিধি বাড়াতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চাষিদের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য দফতরের অধিকর্তা ডি কে চাকমা।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় এলাকায় মুক্তা চাষ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
কীভাবে পুকুরে মুক্তা চাষ করা যায় এ বিষয়ে বর্হিঃরাজ্যে ট্রেনিং ও ইউটিউবে ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হন ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় এলাকার যুবক চিত্তরঞ্জন দত্ত ও ইউ কে দেববর্মা। চলতি বছর প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে পুকুরের স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছেন তারা।
তাদের সফলতার খবর শুনে আগরতলা থেকে বিশালগড় এলাকায় ছুটে এসেছেন ত্রিপুরা সরকারের মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা ডি কে চাকমা, মৎস্য তত্ত্বাবধায়ক হীরক সরকারসহ দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এসময় কর্মকর্তাদের মুক্তা চাষি চিত্তরঞ্জন দত্ত পুকুর থেকে ঝিনুক তুলে সেগুলো ভেঙে মুক্তা বের করে দেখান। ঝিনুকের ভেতর থেকে একেএকে বিভিন্ন ডিজাইনের মুক্তা বের করে দেখানোয় খুশি হন মৎস্য অধিকর্তারা।
তখন ইউ কে দেববর্মা বলেন, নিজেদের চেষ্টায় তারা ঝিনুক চাষ করে প্রথমবারেই সফল হয়েছেন। রাজ্য সরকার যদি তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে বড় আকারে মুক্তা চাষ করতে পারবেন। বেকার যুবকদের জন্য নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এসময় রাজ্যে মুক্তা চাষের পরিধি কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে মৎস্য দপ্তর চিন্তাভাবনা করছে জানিয়ে ডি কে চাকমা বলেন, কোনো ধরনের সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ দুই যুবকের কঠিন পরিশ্রমে রাজ্যে কর্মসংস্থানের একটি নতুন দিশা উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষের বিষয় কোনো নীতিমালা নেই। এজন্য দুই উদ্যমীকে হতাশ হলে চলবে না। আগামী দিনে তারা যেন আরও ব্যাপকভাবে মুক্তা চাষ করতে পারেন এ জন্য দপ্তর সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে। রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা মুক্তা চাষিদের আর্থিকভাবে সহায়তা আশ্বাস দেন। শুধু এ দুই যুবকেই নয়, রাজ্যে আরও কেউ মুক্তা চাষে আগ্রহী হলে তাদেরও সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কারণ এতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
এসসিএন/ওএইচ/